হেলাল শেখঃ বাংলাদেশের মধ্যে শুধু সাভার ও আশুলিয়ায় ২২৩টি পূজামন্ডপসহ সারাদেশে প্রায় ৩২ হাজার পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বছর ৩২ হাজারের বেশি এবং ২০২১ইং সালে ৩২ হাজার ১২৮টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। মহা ষষ্ঠপূজার মধ্যদিয়ে পাঁচদিনব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজা চলে।
মঙ্গলবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বাঙালির এই শারদীয় উৎসব। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে এখন সারাদেশে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। দুর্গাপূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে দেশজুড়ে পূজামন্ডপগুলো বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে। সূত্র জানায়, এই দুর্গাপূজা উপলক্ষে কিছু এলাকায় মেলা বসানো হয়েছে। সাভার ও আশুলিয়ায় শান্তিপূর্ণ ভাবে ধর্মীয় উৎসব পালন করছেন সকল শ্রেণী পেশার মানুষ, অনেকেই বলছেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার।
সারাদেশের পূজামন্ডপগুলোতে দূর্গা দেবীর বোধন অনুষ্ঠিত হয়। শারদীয় দূর্গাউৎসবের প্রাক্কালে এই বোধনের মাধ্যমে দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দূর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বন্দনা পূজা করা হয়। দেশের মণ্ডপে—মন্দিরে প মীতে সায়ংকালে তথা সন্ধ্যায় এই বন্দনা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার ২৪ অক্টোবর দশমী। সূত্রমতে, সারাদেশে ৩২হাজারের বেশি পূজামন্ডপে দগোর্ৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা মহানগরে পূজা হচ্ছে ২শতাধিক জায়গায়। সাভার উপজেলা ও পৌরসভা এবং আশুলিয়ায় গত ২০২১ সালে ২০৪টি জায়গায় পূজার আয়োজন করা হয় ২০২২ সালে তারচেয়ে একটু বেশি এবং ২০২৩সালে ২২৩টি পূজা মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠান চলছে। এর মধ্যে ১নং শিমুলিয়া ইউনিয়নে দূর্গা মন্দির। ইয়ারপুর ইউনিয়নের নরসিংহপুরসহ হিন্দু পাড়ায় মন্দির স্থাপন করা হয়।
বিশেষ করে রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে লংকা যাত্রার আগে শ্রী রামচন্দ্র দেবীর পূজার আয়োজন করেছিলেন শরৎকালের অমাবর্ষা তিথিতে, যা শারদীয় দূর্গা উৎসব নামে পরিচিত। দেবীর শরৎকালের পূজাকে এজন্যই হিন্দুমতে অকাল বোধনও বলা হয়। দুর্গোৎসব উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিজয়া দশমীর দিন শোভাযাত্রায় প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়।
পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জিসহ সংশ্লিষ্টরা গণমাধ্যমকে জানান, বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আসার পর প্রতিবছর ধারাবাহিক ভাবে পূজার মন্ডপ এর সংখ্যা বেড়েছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আস্থা, সরকারি অনুদান ও শুভানুধ্যায়ীদের অনুদান নিঃসন্দেহে পূজার সংখ্যা বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। রাজধানী ঢাকা ও সাভার আশুলিয়াসহ সারাদেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী—পুলিশ, আনসার, র্যাব ও বিডিআর সদস্যরা দায়িত্ব পালনে রয়েছেন। পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক দল দায়িত্ব পালন করছেন। বিশেষ করে রাজধানীর ঢাকেরশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গনে মহানগর পূজা কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। উক্ত দুর্গাপূজায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।