প্রথাগত কৌশলে বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি প্রয়োগে শরীর থেকে করোনা ভাইরাস ধ্বংসের উপায়

স্বাস্থ্য

আবু শাহাদাৎ, খুলনা থেকে : মহামারি করোনায় যখন সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের মানুষের ত্রাহি অবস্থা তখন অত্যন্ত সাদামাটা ঘরোয়া দাওয়াই দিয়ে করোনা রোগী সুস্থ হওয়ার দাবি করেছেন লেখক ও গবেষক বাসুদেব বিশ্বাস বাবলা। তার মতে কলেরা-ডায়রিয়া রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা আধা লিটার পানিতে এক চিমটি লবণ ও এক মুষ্ঠি চিনি অথবা গুড় দিয়ে তৈরি স্যালাইন যেমন উপকারী উপাদেয় তেমনি, ঘরে বসেই ঝটপট করা যায় করোনার রোগীর চিকিৎসা। এক্ষেত্রে তিনটি ধাপ পর্যায়ক্রমে সঠিকভাবে পালন করতে পারলেই মিলবে কাক্সিক্ষত সাফল্য। ইতোমধ্যে কয়েকজন করোনা রোগী ও করোনা উপসর্গে ভোগান্তকারির ওপর এই চিকিৎসায় কার্যকর সুরাহা মিলেছে। আর এটি যদি সত্যিকার অর্থে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যায় তাহলে ঘাতকব্যাধি করোনার ছোবল থেকে দেশের অসংখ্যা মানুষের মুক্তির পথও সুগম হবে বলে তিনি আশাবাদী।

করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় এই ঘরোয়া দাওয়াইয়ের প্রথম ধাপটি হলো : আড়াই লিটার বিশুদ্ধ পানি ভালোভাবে ফুটাতে হবে। ফুটন্ত পানি উনুন থেকে নামিয়ে তাতে ৭০ শতাংশ অ্যালকোহেলযুক্ত আইসোপ্রোপাইল (ওঝঙচজঙচণখঊ) অথবা হেক্সিসল (ঐঊঢওঝঙখঊ) স্যানিটাইজার ১০ (দশ) ফোটা পরিমাণ মিশিয়ে গরম পানির ভাপ করোনা রোগীকে নেয়াতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাসে এমনভাবে এই মিশ্রণের ভাপ নিতে হবে যাতে রোগীর ফুসফুস পর্যন্ত পৌছায়। (আইসোপ্রোপাইল অনুমোদিত হার্ডওয়্যারে পাওয়া যায় এবং বাজারের সর্বত্র এসি আই কম্পানির স্যানিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে)। এইভাবে দিনে তিন বার তিন দিন করোনা রোগীকে করালে রোগী ভালো হওয়ার সম্ভাবনা একশ ভাগ।

দ্বিতীয় ধাপ : করোনা রোগী যে ঘরে থাকবেন সেই ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে অর্থাৎ ঘরটি আবদ্ধ করে (সম্ভব হলে বৈদ্যুতিক পাখা চালু রেখে) যে কোন জীবানুনাশক ঘরের মধ্যে স্প্রে করতে হবে দিনে এক বার তিন দিন।

তৃতীয় ধাপ : ক্ষারযুক্ত ডিটারজেন্ট দিয়ে বাড়ির সকলের ব্যবহৃত কাপড়-চোপড় পরিষ্কার করতে হবে। তাছাড়া ঘরবাড়ি (মেঝেসহ) এমনকি বাড়ির উঠোনও ক্ষারযুক্ত ডিটারজেন্ট ছিটিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

ইতোমধ্যে করোনা আক্রান্ত কয়েকজন এবং করোনা উপসর্গে ভোগা একাধিক রোগীর ওপর এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে সাফল্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন বাসুদেব বিশ্বাস। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারেন তার ব্যক্তিগত এই মোবাইল নম্বরে ০১৯১৩-৯১৭৯১৮।

পরামর্শ : করোনা আক্রান্ত রোগীকে দ্রæত হাসপাতালে স্থানান্তর করা সম্ভব হলে- সেটিই করা ভালো। আর সম্ভব না হলে এবং উপসর্গে দেখা দেওয়া রোগীদের এই ঘরোয়া চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারেন।

করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় দাওয়াইটি যদিও ঘরোয়া তবুও কিন্তু বিজ্ঞানভিত্তিক প্রয়োগের মাধ্যমেই করোনা ভাইরাস শরীর থেকে ধ্বংসের উপায়। কেননা, বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বারবার স্যানিটাইজার ব্যবহার করার জন্য আহŸান জানাচ্ছেন। তাছাড়া যে কেউ বাড়ি থেকে বের হয়ে অফিস-আদালত, বাজার-ঘাট, ক্লিনিক বা হাসপাতাল যেখানেই যান কেন ফিরে এসে কিন্তু পরিধেয় বস্ত্র ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন। সেক্ষেত্রে বাজারে প্রচলিত যে কোন ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলেই হলো। বাসুদেব বিশ্বাস বাবলার করোনার চিকিৎসা পদ্ধতিও এই পরামর্শের আওতায় পড়ে। নতুন করে যোগ করা শুধুমাত্র প্রথম ধাপটি। তাই এই ঘরোয়া চিকিৎসায় কোন করোনা রোগী সুস্থ হলে তিনি খুব সহজেই তা প্রতিবেশি, বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে চালু করতে পারবেন। তাহলে প্রথাগত কৌশলের মাধ্যমে বিজ্ঞানভিত্তিক এই পদ্ধতি প্রয়োগে মরণব্যাধি করোনার বিস্তার রোধ করা সম্ভব হবে খুব সহজেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *