নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আনোয়ার হোসেন।
বেনাপোল স্থলবন্দরে কেমিক্যালের ৩টি ড্রাম বিস্ফোরণের আতঙ্কে স্হল বন্দর থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। গত রোববার রাত ১০ টার দিকে ড্রামগুলো বন্দরের ৩২ নম্বর ইয়ার্ড থেকে সরিয়ে বাইরে নেয় ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানায়,স্হল বন্দরের ধারণক্ষমতা ৪৫ হাজার মেট্রিক টন। তবে এখানে সব সময় পণ্য থাকে প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন। জায়গার অভাবে সাধারণ পণ্য নামাতে হচ্ছে ঝুঁকির মধ্যে। তবে দুর্ঘটনা এড়াতে নজর কম বন্দরের
এদিকে কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরণের ভয় ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে বন্দরে জড়ো হয় বন্দর কর্মকর্তা, আমদানিকারকও সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা।
বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) সঞ্জয় বাড়ৈ জানান, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় মিথানল ভর্তি ৩টি ড্রাম ফুলে ওঠে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেটি নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়। কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, কেমিক্যাল জাতীয় পণ্য রাখার জন্য তাদের আলাদা শেড রয়েছে। তবে অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ দাহ্য পদার্থ নিরাপদে রাখার জন্য আধুনিক শেড তৈরির পরিকল্পনা বন্দরের রয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ বছর এ স্হল বন্দরে ছোট বড় অন্তত ৭টি অগ্নিকান্ডে কয়েক শত’ কোটি টাকার আমদানি পণ্য পুড়েছাইহয়ে ক্ষতির শিকার হয়ে পথে বসেছেন আমদানিকারকগন। তবে বার বার এমন অগ্নিকান্ডেরঘটনা ঘটলে সতর্কতা প্রয়োজনীয় অবকাঠামো বা জনবল বাড়েনি বেনাপোল বন্দরে। এতে বন্দরে আগুন লাগলে যশোর, ঝিকরগাছা মণিরামপুর, খুলনা কখনো ভারতের ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের উপর নির্ভর করতে হয়। তারা বেনাপোল স্হল বন্দরে পৌঁছতে পৌঁছতে তার আগেই পুড়েছাই হয়ে যায় পণ্য চালান শেষ।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বন্দরের ৩২ নম্বর পণ্যগারের সামনে পণ্য খালাস করছিলেন তারা। এ সময় দেখতে পান মিথানল ভরা কেমিক্যালের কয়েকটি ড্রাম ফুলে আয়াতন বৃদ্ধি হচ্ছে। এতে বিস্ফোরণের ঝুঁকি বাড়তে। পারে তারা বন্দর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে তারা ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের সহায়তায় ড্রাম নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়।
সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী ফিরোজ আলম জানায়, বেনাপোল স্হলবন্দরে জায়গা সংকটের কারণে সাধারণ কেমিক্যালের পণ্যগারে রাখা হয় ঝুঁকিপূর্ণ দাহ্য পদার্থ। এ ধরনের পণ্য নিজেই তেজস্ক্রিয় হয়ে অগ্নিকান্ড- ঘটে। এ ধরনের অগ্নিকান্ডে প্রতিবছর ঘটছে। শত শত কোটি টাকার সাধারণ পণ্য পুড়ে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও নজর নেই বন্দর কর্তৃপক্ষের।