দৈনিক চৌকস : ভ্রাম্যমান
প্রতিনিধি :মোঃরাজিব খাঁন
রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানাধীন মির্জাপুর পুলিশ ফাড়ির এ টি এস আই আনিছুর রহমান নামে বিভিন্ন রকম প্রপা কান্ড ছড়াচ্ছে জাহাঙ্গীর আলম নাহিদ (৩০)সে মেহেরপুর জেলার ও থানার সোনাপুর গ্রামের মোঃ খোকন আলীর ছেলে।ঘটনার সূত্রে জানা যাই এ টি এস আই আনিছুর রহমান মেহেরপুরে চাকরি করারা সুবাদে জাহাঙ্গীর আলম নাহিদ এর সাতে পরিচয় হয় এবং তারা দুই জন ধর্ম ভাই পাতায়। উভয়ে পূব পরিচিত হওয়ায় নাহিদ এর টাকা প্রয়োজন হয় তখন নাহিদ খায়রুল আলম ও আনিছুর রহমান এর কাছে এক লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা ধার চাই। ফারুক আহমেদ ও আনিছুর রহমান তাকে সরল মনে টাকা ধার দেয় এক মাসের জন্য। এক মাস পার হয়ে গেলে নাহিদ টাকা ফিরত না দিয়ে তাদের সরলতার সুজক নিয়ে ঘুরাতে থাকে। এর মধ্যে আনিছুর রহমান রাজশাহীতে ১৩ মার্চ ২০২৩ সালে মিজাপুর ফাড়িতে যোগদান করে। বদলীর পর থেকে নাহিদ তাদের দুই জনার সাথে প্রতারনা করতে থাকে বিভিন্ন তাল বাহনা করে তাদের টাকা ফিরত দেই না।হঠাৎ নাহিদ এর মা অসুস্থ হলে তাকে জুলাই মাসের দুই তারিখে চিকিৎসা করাতে তালাইমারী আমেনা হাসপাতালে আনে। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় সে আনিছুর রহমানে স্ত্রীকে ফোন দিয়ে ঘটনা বলে। তখন আনিছুর রহমান এর স্ত্রী তাকে তার বাসায় দেখা করতে বলে। নাহিদ আনিসুর রহমান বাসায় দেখা করতে যাই।তখন আনিসুর রহমানের স্ত্রী নাহিদ কে সংসারের অভাব-অনটন ও বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে এবং বলে তুমি তো আমাদের ভাই তুমি অভাবের সময় আমাদের টাকাটা যদি ফেরত দিতে। নাহিদ তখন বলে আমাকে আগে কেন জানাননি ঠিক আছে ভাবি আমি কিছু টাকা ব্যবস্থা করে দিচ্ছি এই বলে সে আনিছুর রহমানের স্ত্রীর বিকাশ নাম্বারে তাদের পাওনা কিতো ধারের ৫০০০০ টাকা দেয়।তারপরে সে বলে ভাবি আপনাদের ধারের টাকাটা আমি আস্তে আস্তে শোধ করে দেবো আর কিছুদিন সময় লাগবে এই বলে সেখান থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে সে ধারের বাকি টাকাটি দিবে না বলে বিভিন্ন রকম মিথ্যা কথা প্রচার করে তাদের নামে বিভ্রান্তি তে ফেলে।এই নাহিদের নামে তার এলাকাতে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে মিথ্যা কথা বলে টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে বেড়াই। নাহিদের বক্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন দিলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এইজন্য তার বক্তব্য নেয়া যাইনি।
মির্জাপুর ফাঁড়ির এটিএসআই আনিছুর রহমান জানান, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম নাহিদ আমার ধর্ম ভাই। আমার কাছ থেকে ৫০হাজার টাকা ধার নিয়েছিলো। যাহা স্ট্যাম্পে লিখাপড়া করা আছে। সেই টাকাই আমার স্ত্রীর নগদ ও বিকাশ নম্বরে নিয়েছি। অজ্ঞাত চারজন যুবক আপনার বাড়িতে প্রবেশ করে মারপিট করে নগদ ও বিকালে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন এই রকম কনো ঘটনা ঘটেনি।
এ ব্যপারে মির্জপুর ফাড়ির ইনচার্জ এসআই মোঃ সাহাবুল ইসলাম জানান, এটিএসআই আনিছুরকে আমি বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছি। তার বক্তব্য অনুযায়ী তার পাওনা টাকা সে উদ্ধার করেছে। তাই আমার কিছু করার নাই।
জানতে চাইলে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোঃ মোবারক পারভেজ জানান, এটিএসআই আনিছুরকে ডেকেছিলাম। তার সাথে কথা হয়েছে। সে পাওনা টাকা উদ্ধার করেছে বলে স্বিকার করেছে। কিন্তু সন্ত্রাসী কায়দায় ঘরে আটকিয়ে মারপিট করে টাকা উদ্ধারের বিষয়টি জানতে চাইলে, ওসি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই।