শাহীন আহমেদ 

গরীবের ডাক্তার বিমল কান্তি সুশীল স্বাস্থ্য সেবা দিয়েই চলেছেন। শত প্রতিকুলতার মাঝেও তিনি গরীব দুখী মানুষের সেবা অব্যহত রেখেছেন। এলাকাবাসীর আহবানে সাড়া দিয়ে সাধারন মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এমনই একজন ডাক্তারের খবর পেয়েছি আমরা তিনি গরিবের ডাক্তার বলে পরিচিত হয়েছেন এলাকাবাসীর কাছে।

চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানা আব্দুর পাড়া এলাকায় তরুণ চিকিৎসক ডাক্তার বিমল কান্তি সুশীল , দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে সেবাদানের মাধ্যমে অসহায় রোগীদের সহায়ক হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন। মানবতার সেবক ডাক্তার বিমল কান্তি দাস মেডিসিনের একজন চিকিৎসক।

তিনি চাকরির জন্য কোথাও চেষ্টা না করে পাহাড়তলী থানা আব্দুর পাড়া এলাকায় একটি ফার্মেসীতে চেম্বার খোলে বসেন। শুরু করেন দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে সেবাদান। এতে দরিদ্র রোগীরা যেন হাফ ছেড়ে বাঁচেন। তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। বাড়তে থাকে রোগীর চাপ।

চিকিৎসা নিতে আসা একজন রোগী বলেন,কথিত কসাইদের ভিড়ে নিভৃতে সেবা দিচ্ছেন আমাদের একজন গরীবের ডাক্তার বিমল কান্তি দাস। সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের কর্তব্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।

তাসলিমা নামে এক রোগী বলেন, ডাক্তার বিমল কান্তি সুশীল রোগী দেখেন সময় নিয়ে, রোগীর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন, এমনকি নিজের পকেটের টাকা দিয়ে অনেক গরিব রোগীর নানা পরীক্ষা নিরীক্ষাসহ ওষুধ কেনার ব্যবস্থা করে দেন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার এমন সেবায় স্থানীয়রা সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ইতিমধ্যে অনেকেই তাকে ‘গরিবের ডাক্তার’ বলে ডাকতে শুরু করেছেন।

ডাক্তার বিমল কান্তি সুশীলের চেম্বারে চিকিৎসা নিতে আসা সবুজ মিয়া বলেন, আমার বাচ্চার অনেক সমস্যা ছিল। এই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিয়ে এখন আমার ছেলে অনেকটা ভালো আছে। আবার দেখা করতে এসেছি,  আমরা গরিব। শুনে তিনি কোনো ফি নেননি, ওনার  কথা আচার ব্যবহার খুব ভালো। উনাকে আমরা এলাকাবাসী আশীর্বাদ হিসেবে পেয়েছি, আল্লাহর কাছে দোয়া করি উনি যাতে সুস্থ থাকেন এবং আমাদের গরিবদের সেবা করতে পারে।  

সত্তর বছরের বৃদ্ধ আবদুর রহিম বলেন,এখনে আমরা বিনা পয়সায় চিকিৎসা ও ওষুধ পাই। তিনি হইলেন আমাগো গরিবের ডাক্তার। রাইত নাই দিন নাই, তার কাছে গেলে নিজে না পারলে অন্য ডাক্তারদের সহায়তায় চিকিৎসা ও ওষুধ দেন।

এ বিষয়ে ডাক্তার বিমল কান্তি সুশীল বলেন,মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই তিনি এই কাজ করছেন,চিকিৎসা সেবা একটি মহৎ পেশা।চিকিৎসা সেবায় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। রোগীদের সেবা দিয়ে সুস্থ করে তুলতে পারলে নিজের মধ্যে অন্যরকম এক আনন্দের অনুভূতি কাজ করে।

এবং তিনি আরো বলেন,আমার উদ্দেশ্য অসহায় মানুষের সঠিক সেবা দান করা। সত্যি বলতে টাকা পয়সাই জীবনের সবকিছু না। মানুষের ভালোবাসা আর দোয়া পাওয়ার জন্যই আমার এই উদ্যোগ।