খন্দকার মেজবাউল ইসলাম
দৈনিক চৌকস প্রতিনিধি
রাজশাহী মোহনপুরে দেবী দূর্গা বরণে পূজা মন্ডপ গুলোতে চলছে প্রস্তুতি। শরতের কাশফুল আর প্রতিমা তৈরিতে কারিগরদের ব্যস্ততা জানিয়ে দিচ্ছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। এখন শুধু অপেক্ষা ঢাকে কাঠির বারি পড়ার। সেই সাথে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরীর কারিগররা। তাদের নিপুণ হাতে ফুটে উ
ঠছে দেবী দুর্গার রূপ। সময় অল্প থাকায় প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ করতে দিন রাত কাজ করছেন তারা। একমাটি ও দো-মাটির কাজ শেষে ধীরে ধীরে আকার পাঁচ্ছেন দেবী দুর্গা, কার্তিক, গনেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতীসহ অন্যান্য প্রতীমার। বর্তমানে কাঁদা মাটির কাজ শেষের দিকে, এরপর শুরু হবে রং ও তুলির কাজ। প্রতিটি প্রতিমা তৈরিতে আকার ভেদে শিল্পীরা মজুরি নিচ্ছেন ২৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে বর্তমান বাজার দরের সাথে মজুরি কমে যাওয়ায় হতাশ কারিগররা। প্রতিমা কারিগররা জানান, প্রতিমা তৈরির ধুম পড়েছে। প্রতিটি বাড়িতেই তৈরি করা হচ্ছে একাধিক দুর্গা প্রতিমা।
কারিগরেরা রাত-দিন প্রায় ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা কাজ করছে অর্ডার নেয়া প্রতিমা তৈরি শেষ করতে। এখানে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সমানভাবে কাজ করছে। দেবী মাকে সাজাতে শত ব্যস্ততায়ও যত্ন সহকারে কাজ করা হচ্ছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরির কাজে নিয়োজিত কারিগরদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এমনটাই প্রত্যাশা কারিগরদের। বগুড়া পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি পরিমল প্রসাদ রাজ সম্পাদক জানান, এবারো বগুড়া জেলা ৬১৭ টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে প্রতিটি মন্ডপেই চলছে সাজসজ্জার কাজ। এছাড়াও প্রতিটি মন্ডপেই নজরদারি রাখা হয়েছে। আমরা জেলা প্রশাসকের সাথে পূজা উদযাপনে মোহনপুর উপজেলা পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। বরাবরের মত এবছরও শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পালিত হবে বলে জানান মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হান্নান জানান, দুর্গাপূজার শুরু থেকে বিসর্জন পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করবে থানা পুলিশ সাথে থাকবে সেনাবাহিনী।বিষয়ে মোহনপুর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রনোজিত কুমার রতন, এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এবারের শাদর্গীয় দূর্গা পূজা উৎসব মুখর পরিবেশে হবে বলে আশা করছেন এবং দল মত নির্বিশেষে সকলেই সহযোগিতা করবেন। তিনি আরো বলেন অনেক জায়গায় মা দেবী দুর্গার মূর্তি নিজেরাই তৈরি করে থাকেন উপজেলার পালিয়াডাঙ্গা, বেলনা, আমিন নওগাঁ, এই এলাকায় তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে কারিগর নিয়ে এসে পূজা মন্ডপ তৈরি করে থাকেন।