শাহীন আহমেদ
ইলিশ মাছ ধরা এবং বিক্রি করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বাংলাদেশে। এই সময়ে কেউ ইলিশ মাছ ধরলে বা বিক্রি করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল মৎস্য দফতর। কিন্তু সেই হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করেই অবাধে চলছে ইলিশ মাছ ধরা এবং বিক্রি।
বরাবরের মত নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চলছে সামুদ্রিক মৎস্য শিকার। চট্টগ্রাম নগরীর লিংক রোড থেকে শুরু করে পতেঙ্গা রোডে রাতের অন্ধকারে চলে এ মাছ ধরার মহা উৎসব । ইলিশ মাছ রক্ষা এবং নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে গত ১২ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ৩ নভেম্বর ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু সরকারের এ নিষেধের তোয়াক্কা না করেই চলছে ঝাটকা ইলিশ ধরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বন্দর নগরীর সাগরপাড়ের মুসলিমাবাদ ঘাট হতে শুরু করে আকমল আলী , হালিশহর আনন্দবাজার ঘাট, রাসমনি ঘাটে কতিপয় অসাধু মাঝি অবৈধভাবে বোটে করে রাতের অন্ধকারে গভীর সাগর থেকে ধরে আনছে ঝাটকা ইলিশ। তবে গল্প হলেও সত্য সেখানে কোস্ট গার্ড ও পুলিশের গাড়ি যথাসময়ে উপস্থিত থাকলেও তারা নিশ্চুপ, মাঝেমধ্যে লোক দেখানো অভিযান করলেও অসাধু সিন্ডিকেটের জেলেদের লিডার প্রদানরা রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাহিরে।
অনুসন্ধানে দেখা যায় প্রত্যেক ঘাটে রয়েছে একেক সিন্ডিকেট, সেই সিন্ডিকেট জেলেদের জিম্মি করে এবং প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চালাচ্ছে এই মাছ ধরার উৎসব। সিন্ডিকেটের প্রথম তালিকায় যারা রয়েছেন, পতেঙ্গা মুসলিমবাদ ঘাট নিয়ন্ত্রণে আব্দুল্লাহ এবং দুই একজন কথিত সাংবাদিক, আকমল আলী ঘাট নিয়ন্ত্রণে, সাজ্জাদ সেলিম, রহমান। রাসমণি ঘাট নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন ক্যালন দাস সাথে রয়েছেন আরো অনেকেই তাদের নাম ঠিকানা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি তবে অনুসন্ধান চলছে।
এ বিষয়ে কোস্টগার্ড কর্মকর্তা রুবেল বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে, এবং আমরা ২৪ ঘন্টায় প্রস্তুত রয়েছি অভিযান করার জন্য, আপনারাও আমাদেরকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন অবশ্যই আমরা অভিযান করব।
সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও কেন ইলিশ ধরা হচ্ছে জানতে চাইলে, চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রতিনিয়ত যারা সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ইলিশ ধরে যাচ্ছে তাদেরকে আমরা আইনের আওতায় আনার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ধরনের খবর পেলে আপনারা সাথে সাথে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা ব্যবস্থা নিব।