নগরের পতেঙ্গা ৪১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলমগীর হাসান প্রকাশ মধু আলমগীরকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রাত ১১টার দিকে বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আলমগীর এয়ারপোর্ট কলোনি রোডের মসজিদ গেট এলাকার মৃত আবুল কাশেম সওদাগরের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্ট পতেঙ্গা মডেল থানায় অনধিকার প্রবেশ করে অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র–গুলি, লুটপাট, পুলিশ আক্রান্ত করার মামলার তদন্তপ্রাপ্ত আসামি তিনি। এছাড়াও তিনি সিএমপি কোতোয়ালী থানার এক মামলার এজাহারনামীয় আসামি। স্থানীয় লোকজন তাকে ‘মধু আলমগীর’ নামেই চেনেন।
তার বিরুদ্ধে নানা চেক প্রতারণা মামলার ওয়ারেন্টও ছিলো বলে পুলিশ জানায়। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য এমএ লতিফের অনুসারী বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুন নূর বলেন মধু আলমগীর গ্রেফতারে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসলেও ইলিয়াস আতঙ্কে দিনরাত কাটছে এলাকাবাসীর । এই ইলিয়াস পতেঙ্গা সৈনিক লীগের সভাপতি হিসেবে থাকায় গত ৮,০২,২০২৩ ইংরেজি তারিখে আমার ভাইকে হত্যা করে ইলিয়াস ও তার বাহিনী আমরা মামলা করবার পরেও সেই মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য বহু হুমকি ধামকি সাবেক সাংসদ লতিফ এবং আলমগীর ও ইলিয়াস,
আমরা এ সকল হুমকির প্রতিবাদে একাধিকবার থানায় জিডি করেও মেলেনি প্রতিকার কারণ একটাই ইলিয়াস পতেঙ্গা সৈনিকলীগ এর সভাপতি।
পতেঙ্গা মুসলিমাবাদ এলাকার জেলে মোহাম্মদ কামাল বলেন গাভী ইলিয়াসের রোসানলের শিকার হয়ে আমি আমার সর্বস্ব হারিয়েছি ,সমুদ্রে মাছ ধরতে হলে তার সাথে স্টাম্প ডিট করতে হতো এই সকল ডিটের মূল্য থাকতো আড়াই থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা।
বিগত দিনে ইলিয়াস গম চুরির মামলা ও হত্যা মামলা ও চাঁদাবাজি মামলায় বহুবার অ্যারেস্ট হলেও কমেনি তার ক্ষমতার দাপট, এমপি লতিফের বদৌলতে সেই সমুদ্রের ব্যবসা তেলের ব্যবসা স্ক্রাব লোহার ব্যবসা মদের ব্যবসা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন হত্যা মামলার দায়ে জেল খাটলেও এখন জেল থেকে বেরিয়ে হয়ে ওঠে আরো বেপরোয়া।