দৈনিক চৌকস : ভ্রাম্যমান
প্রতিনিধি: মোঃ রাজিব খাঁন
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন সহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকালে উপজেলা চত্ত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
র্যালি টি রাজশাহী -টু নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্তরে এসে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর উপলক্ষে উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক বাকশিমইল ইউপি,সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব আর রশিদ এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বকুলের পরিচারনায়
প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামিমুল ইসলাম মুন, সদস্য সচিব বাচ্চু রহমান, উপজেলা সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কাজিম উদ্দিন,মৌগাছী ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খাঁন,উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল কাদের,শামসুজ্জোহা আক্তার শাহিন,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, যুবনেতা মির্জা শওকত,ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক,কৃষক দলের আহবায়ক গোলাম মোস্তফা বাবলু,সদস্য সচিব জাকারিয়া মন্ডল, উপজেলা শ্রমিক দলের আহবায়ক মোজাম্মেল হক, মিজানুর রহমান মিলন, যুব নেতা আব্দুর রহিম,, যুব নেতা নাহিদ পারভেজ হিমু,ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন,সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান, আব্দুল মালেক,আনছার আলী,রুস্তম আলী,রেজাউল ইসলাম,মৌগাছী ইউপি’র সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী মুকুল, সাধারণ সম্পাদক ইউনুছ আলী, আল-আমীন, উজ্জ্বল হোসেন, জিল্লুর রহমান, তাজউদ্দীন আহম্মেদ সহ উপজেলা এবং ইউনিয়ন ওয়ার্ড ব্যাপি বিএনপি’র সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। দিবসটিতে প্রধান অতিথি বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানে ওই বছরের মধ্য আগস্ট থেকে চলা টালমাটাল পরিস্থিতির অবসান হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ক্ষমতায় আসা খন্দকার মোশতাক সরকারকে উৎখাতে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ৩ নভেম্বর পাল্টা অভ্যুত্থান করা হয়। গৃহবন্দি করা হয় মুক্তিযুদ্ধের বীরউত্তম সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে। দেশ সরকারহীন হয়ে পড়ে। খন্দকার মোশতাকের কাছ থেকে পদোন্নতি আদায় করে নিজেকে সেনাপ্রধান ঘোষণা করেন খালেদ মোশাররফ। পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় নিজেকে সুসংহত করেন একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যা প্রতিরোধে বিদ্রোহ করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া মেজর জিয়া। ৭ নভেম্বরের পর তিনি সামরিক শাসক থেকে রাজনীতিকে পরিণত হন।
দলকে গতিশীল করতে ও আগামী দিনগুলোতে সুন্দর রাজনীতি করার লক্ষে এই জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে আলোচনার সভার আয়োজন করা হয়েছে।