বিশেষ প্রতিবেদক: সোনার বাংলাদেশে অবৈধ ক্যাফেইন যুক্ত রেড বুল এনার্জি ড্রিংক
দেশের খোলা বাজারে বিক্রি যেন দেখার কেহ নাই। এনার্জি ড্রিংক মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর, (এনিমেল) যাহাতে শুকুরের তৈল মিস্ত্রিত রয়েছে। বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এই উচ্চ মাত্রার ক্যাফেইন যুক্ত এনার্জি ড্রিংক মাদক হিসেবে পরিগণিত হয়।
দেশের সচেতন মহলের বক্তব্য হলো, দীর্ঘ দিনের বেভারেজ মার্কেট যা আছে তাই থাকুক জনগণের প্রত্যাশা এমটাই।
যাত্রাবাড়ি সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘর, ভ্যানে করে ভূয়া লেবেল লাগিয়ে উত্তেজক ঔষধ
বিক্রি করছে বিভিন্ন অসাধু ব্যবসায়ী সহ কিছু কুচক্রী মহল, যা খেয়ে মানুষের কিডনী নষ্ট হবার মতো ঝুঁকি রয়েছে, বিশেষজ্ঞরা এমনই তথ্য দিচ্ছে।
বিএসটিআই, শিল্পমন্ত্রনালয় ও বিদেশী কিছু অসাদু কর্মকর্তাসহ চক্রান্ত কারীরা এর সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছে বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে । তারা অতিমাত্রার ক্যাফেইন যুক্ত এনার্জি ড্রিংক বাজারে আনার জন্য বিভিন্ন মহলে তদবির ও পাঁয়তারা করছে। অতিমাত্রার ক্যাফেইন যুক্ত এনার্জি ড্রিংক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১৮ বছরের তরুণদের নিকট বিক্রয় করার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এই উচ্চ মাত্রার ক্যাফেইন যুক্ত এনার্জি ড্রিংক মাদক হিসেবে পরিগণিত হয়।
গত ১৯ আগস্ট ২০২৪ সালে সকল স্টেক হোল্ডারদের উপস্থিতিতে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় বক্তারা এনার্জি ড্রিংক এর স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে অবহিত করেন। এনার্জি ড্রিংকে উচ্চমাত্রার ক্যাফেইন রয়েছে, যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এছাড়াও এনার্জি ড্রিংকে টওরিন নামক কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়, যা বিভিন্ন উদ্ভিদ ও শুকরের দ্বারা ও পাওয়া যায় তবে অনুসন্ধানে জানা যায় শুকরের দ্বারা যেটা পাওয়া যায় সেটি অন্য গুলোর চেয়ে সস্তা, তাই কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা কম দামি টা বেশি ব্যবহার করে থাকেন যেটা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এছাড়া ইনোসিটল, গ্লুকোনোল্যাক্টন জাতীয় উদ্দীপক উপাদান রয়েছে,যা আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
এনার্জি ড্রিংক বা উচ্চমাত্রার ক্যাফেইন যুক্ত কার্বনেট বেভারেজ আমাদের দেশের জন্য কতটা প্রয়োজনীয়, যেখানে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে সেই বিবেচনায় আরো ব্যাপক ভাবে চিন্তা ভাবনা করে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ প্রয়োজন। যেকোনো ভুল একটা সিদ্ধান্ত আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য ব্যাপক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এছাড়াও আমাদের সম্ভাবনাময় কার্বোনেটেড বেভারেজ সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যেখানে ৫ লক্ষ কর্মী কর্মরত রয়েছে। এই সেক্টরের উদ্যোক্তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। যেখানে কার্বোনেটেড বেভারেজ ছাড়াও অন্যান্য পণ্য যেমন পানি, চিপস্, জুস, দুধের মত অনেক নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদিত হয় যা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের চাহিদা পূরণ করে।কিন্তু এনার্জি ড্রিংক এর মান প্রণয়ন হলে কার্বনেটেড বেভারেজ শিল্প হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। মাদকের ব্যবহার বেড়ে যেতে পারে। অনেক অবৈধ ও অসাধু চক্র নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এনার্জি ড্রিঙ্ক নামে বিভিন্ন অবৈধ পণ্য বাজারে আনতে সচেষ্ট হবে এবং হচ্ছে তরুণ প্রজন্মের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ায় এ ধরনের যেকোনো পন্যের
সামাজিক সচেতন প্রয়োজন। ধীরে ধীরে নেশার দিকে ধাপিত করে এবং একটা সময় নেশাগ্রস্ত হয়ে যায় ফলে মরণব্যাধি ক্যান্সারে লিভার নষ্ট হওয়া হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া সহ আরো জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে।
ইসলাম ধর্মে নেশাকে সম্পূর্ণভাবে হারাম বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্যঃ বিদেশের পণ্য কিনে খেলে টাকা বিদেশে চলে যাবে দেশের পন্য কিনে খেলে টাকা দেশে থাকবে।