আলতাব হোসেন স্টাফ রিপোর্টার
রবিবার রাত ৯টার দিকে আশুলিয়ার ইস্টার্ন হাউজিং মাঠ বাজারের পিছনে বাহাদুর ইসলামের মালিকানাধীন রিকশা গ্যারেজে গাঁজার আসর বসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাংবাদিকরা সেখানে উপস্থিত হলে চারজন গাঁজা সেবনকারী ক্যামেরাবন্দি হন। তবে গ্যারেজ মালিক বাহাদুর ইসলাম সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত সেবনকারীদের পালাতে সহায়তা করেন।
পরিচয় পাওয়া গাঁজা সেবনকারীরা হলেন—
১. গোলজার, পিতা: ওসমান, গ্রাম: শুভগাছা, শেরপুর, বগুড়া।
২. আকাশ, পিতা: ফয়জুল, গ্রাম: নওতারা, ডিমলা, নীলফামারী।
৩. মামুন, পিতা: আনিস, স্থানীয় হাউজিং মাঠের দোকানদার।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাঠমিস্ত্রি আনিসের ছেলে মামুন-ই বাকি তিনজনকে গাঁজা সরবরাহ করে এবং সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে খারাপ আচরণও করে। ঘটনার সময় গ্যারেজ মালিক বাহাদুর ইসলাম ও তার পিতা মোঃ হাফিজ উদ্দিন (গ্রাম: নওতারা, ডিমলা, নীলফামারী) নীরব ভূমিকা পালন করেন, যা তাদের সংশ্লিষ্টতার সন্দেহকে আরও জোরদার করে।
এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই বাহাদুর ইসলামের রিকশা গ্যারেজে গোপনে গাঁজার আসর বসে আসছে এবং তিনি নিজেই মাদক ব্যবসার অন্যতম চালক। তার গ্যারেজই হয়ে উঠেছে গাঁজা বিক্রি ও সেবনের নিরাপদ স্থান।
স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে মাদকবিরোধী ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন।