মোছাদ্দেক হোসেন বাহার, ভোলা জেলা প্রতিনিধি
ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদী থেকে অবৈধভাবে নির্বিচারে বালু উত্তোলন বন্ধ করার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভোলাবাসী। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন ভোলা সদর উপজেলার বিএনপির আহবায়ক আসিফ আলতাফ।
মানববন্ধনে ভোলা সদর উপজেলার বিএনপির আহবায়ক আসিফ আলতাফ বলেন, প্রতিদিন বালু দস্যুরা মেঘনা থেকে যততত্র বালু উত্তোল করার ফলে ভোলা শহর রক্ষা বাঁধটি হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। মুন্সীগঞ্জের কুখ্যাত আওয়ামী লীগের খোকন ভোলার বালু ব্যবসায়ীদের পার্টনার। যারা এই বালু উত্তোলন করে তারা ভোলার দরবেশ। তাঁরা চোর ডাকাতের চেয়ে কম নয়। তাদের হাত থেকে ভোলাকে রক্ষা করতে হবে। গত ৬ মাসে বালু উত্তোলনের নামে কি হয়েছে তার জন্য একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে সাজা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে ভোলায় হরতাল ঢাকার পাশাপাশি ঢাকা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনসহ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
তাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবী জানান। একই সাথে এই অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে বিএনপির কেউ যদি জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ গ্রহণে জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
মানববন্ধন বক্তরা বলেন, ভোলার মেঘনায় একটি নির্দিষ্ট পয়েন্টে বালু মহলের ইজরার সুযোগ নিয়ে একটি চক্র বিভিন্ন জায়গা থেকে অবৈধ ভাবে নির্বিচারে বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন করে আসছে।
অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলায় নদীর তীরবর্তী ভোলা শহর রক্ষা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। এতে বসতবাড়ির পাশাপাশি নদীতীরবর্তী ফসলি জমি নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শিগগিরই বালু তোলা বন্ধ করা না হলে আগামী বর্ষায় নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙে বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারা দ্রুত বালু তোলা বন্ধে প্রশাসনকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। তাই দ্রুত বালু মহল ইজারা বন্ধ করে দিয়ে ভোলা শহর কে রক্ষার দাবি জানান বক্তরা। এসময় বক্তব্য রাখেন ভোলা সদর উপজেলা বিএনপি আহবায়ক আসিফ আলতাফ, মোহাম্মদ ইউনুস, মফিজুল ইসলাম মিলন, পৌর কৃষক দলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মঞ্জু খান প্রমুখ। পরে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোলা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় বন্ধুজন পরিষদের প্রধান সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুস স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকে কাছে প্রদান করা হয়।