আল আমিন, আশুলিয়া
সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাকিব হাসানকে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলা থেকে একটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৪। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
র্যাব-৪ এর একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, রাকিব হাসানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ভূমি দখল, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকা, এবং সাধারণ জনগণকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন।
র্যাবের বক্তব্য:
র্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) লে. কমান্ডার ফয়সাল হাসান সাংবাদিকদের জানান, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তার কাছ থেকে কিছু আলামতও জব্দ করা হয়েছে, যা তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
তিনি আরও বলেন, “রাকিব হাসান বর্তমানে র্যাবের হেফাজতে রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি।”
স্থানীয় প্রতিক্রিয়া:
রাকিব হাসানের গ্রেপ্তারের খবরে সাভার ও মানিকগঞ্জ এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ছাত্রলীগের স্থানীয় কিছু নেতাকর্মী একে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বললেও, অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে, দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকলেও কেউ মুখ খুলতে সাহস পেত না।
সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে রাকিব অনেক সময় নিজের স্বার্থে কাজ করতেন। তার কর্মকাণ্ডে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।”
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রতিক্রিয়া:
এই ঘটনায় এখনো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সংগঠনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি তারা পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
আইনি প্রক্রিয়া:
র্যাব জানিয়েছে, রাকিব হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্ত শেষে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হতে পারে।