আলতাব হোসেন স্টাফ রিপোর্টার-
সাভারের আশুলিয়ায় ‘আবাসিক হোটেল’ ও ভাড়া বাসা-ফ্ল্যাটের আড়ালে চলছে অবৈধ ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড। এলাকাবাসীর অভিযোগ—নিয়মিত এ ধরনের কর্মকাণ্ড চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
পদ্মা, হিমালয়, ইউনিকসহ একাধিক হোটেল অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এসব স্থানে প্রেমিক যুগল এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্র-ছাত্রীদের ঘণ্টাপ্রতি কক্ষ ভাড়া দিয়ে অনৈতিক মেলামেশার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। শুধু হোটেলেই নয়, আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসা ও ফ্ল্যাটেও গোপনে চলছে একই ধরনের কার্যকলাপ, যা এখন রীতিমতো একটি চক্রের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।
বিশেষ করে এসব হোটেল ও বাসা-কেন্দ্রিক দালাল চক্র বিভিন্ন স্থানে সক্রিয়। তারা কাস্টমার সংগ্রহে ব্যবহার করছে ভিন্ন কৌশল। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আশুলিয়ার বাইপাইলসহ বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে ফুটপাত, দোকানের পাশে, বাসস্ট্যান্ডের দেয়াল কিংবা টয়লেটের দরজায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে ভিজিটিং কার্ড। এসব কার্ডে লেখা থাকে—‘বিশেষ ব্যবস্থা’, ‘নিরাপদ আবাসিক সুবিধা’, ‘বিশ্বাসের সেবা’ ইত্যাদি প্রলোভনমূলক শব্দ।
এতে করে সহজ-সরল পথচারী ও উঠতি বয়সের তরুণরা এ চক্রের ফাঁদে পড়ছে, যার ফলে সামাজিক অবক্ষয় দিন দিন বাড়ছে।
এর আগেও পদ্মা হোটেল থেকে একাধিক যুবক-যুবতীকে আটক করে আদালতে পাঠানো হলেও তারা জামিনে এসে পুনরায় একই অপকর্মে জড়িয়েছে বলে জানা যায়।
সচেতন নাগরিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই সমাজে এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ড কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রশাসনের উচিত দ্রুত এসব হোটেল ও ফ্ল্যাট বন্ধ করে, দালাল চক্রকে আইনের আওতায় আনা এবং এলাকাকে নিরাপদ ও সুস্থ রাখার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।