টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার গজারিয়া গ্রামে প্রেমসংক্রান্ত একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে সামাজিক অঙ্গনে ও এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দুই তরুণীর সঙ্গে এক যুবকের সম্পর্ক এবং হঠাৎ করেই তার এক তরুণীকে বিয়ে করে অন্যজনের দাবি অস্বীকার করার ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, ইমন মিয়া নামের এক তরুণ প্রায় দুই বছর ধরে এক তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে ছিলেন। প্রেমিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর হঠাৎ করেই ওই তরুণ সামাজিক যোগাযোগ বন্ধ করে দেন এবং তার অনুরোধ উপেক্ষা করেন বলে অভিযোগ। এমন পরিস্থিতিতে সম্পর্কের স্বীকৃতি ও বিয়ের দাবিতে প্রেমিকা সরাসরি ইমনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে অনশন শুরু করেন।
তবে অনশনের আগাম খবর পেয়ে ইমন বাড়ি ছেড়ে গোপনে স্থান ত্যাগ করেন। পরদিনই তিনি অপর এক তরুণীকে বিবাহ করেন, যা দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয় জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
নোটারি পাবলিক কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার তথ্য অনুযায়ী, ইমন মিয়া বিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন গত বৃহস্পতিবার। অনশনরত তরুণী গণমাধ্যমকে বলেন, “আমি তার সঙ্গে প্রেম করেছি। এখন সে অন্য কাউকে বিয়ে করলেও, আমার কাছে সে একমাত্র। তার সঙ্গে বৈধ সম্পর্ক ছাড়া আমি কোনো সিদ্ধান্তে যাব না।”
এ বিষয়ে ইমনের পরিবারের পক্ষ থেকেও প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। তার বড় বোন জানান, “মেয়েটি আগে থেকেই আমাদের পরিবারের পরিচিত। তবে বর্তমানে যে পরিস্থিতি, তাতে আমরা কিছু বলার মতো অবস্থানে নেই।”
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য জানান, “ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। মেয়েটিকে আপাতত ছেলের পরিবারের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। ইমনের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে এলাকাবাসী বিষয়টির একটি সমাধান প্রত্যাশা করছে।”
ইমনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।