সাগর আহমেদ, ঘাটাইল উপজেলা প্রতিনিধি
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে টাংগাইলের ঘাটাইল উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের কুশারিয়ায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। হাটে ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের বিপুল সংখ্যক গরু উঠেছে। বিক্রি হয়েছে ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে খামারিরা বলছেন, আশানুরূপ দাম পাচ্ছেন না, অন্যদিকে ক্রেতারা জানাচ্ছেন, তারা তুলনামূলক কম দামেই গরু কিনতে পারছেন।
বৃহত্তর টাংগাইলের মধ্যে সবচেয়ে বড় পশুর হাট ঘাটাইল উপজেলার কুশারিয়া হাটে সোমবার (২ জুন ) দুপুর থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকা ও আশপাশের জেলা থেকে গরু নিয়ে হাটে আসেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।
হাটে নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনায় নেয়া হয়েছে বিভিন্ন উদ্যোগ।আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। জাল টাকা শনাক্তে রয়েছে বিশেষ মেশিন এবং প্রাণিসম্পদ দফতরের পক্ষ থেকে বসানো হয়েছে মেডিকেল ক্যাম্প। হাটে প্রতি গরু প্রতি সীমিত টাকা করে হাসিল নেয়া হচ্ছে।
সরেজমিনে হাট ঘুরে দেখা যায়, হাটে রয়েছে নানা আকারের গরু। গরুর তুলনায় ক্রেতা কিছুটা কম এমনটাই জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আমি সাতটি গরু এনেছি। এর মধ্যে দুইটি বিক্রি করেছি। এখন পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকায়। গরু বেশি, কিন্তু ক্রেতা কম।’
ক্রেতা ইদ্রিস শেখ বলেন, ‘গ্রাম থেকে আজকের হাটে দাম তুলনামূলক কম। আমি তিনটি গরু কিনেছি। এগুলো অন্য হাটে বিক্রি করলে লাভ হবে।’
হাট ইজারাদার রাকিব হোসেন বলেন, ‘বৃহত্তর টাংগাইলের সবচেয়ে বড় হাট কুশারিয়ায় আজ প্রথম দিনেই জমজমাট পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ১০ হাজার গরু এসেছে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি।’
তিনি আরও জানান, হাটে আসা খামারি ও বেপারিদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তারা যেন নিরাপদে গরু বিক্রি করে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেজন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।