ক্রাইম রিপোর্টার রাজিব
রাজশাহীতে নিজ বাড়ির সামনে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছেন ঢাকায় কর্মরত এক ব্যাংক কর্মকর্তা দম্পতি। শুক্রবার ভোরে নগরের দেবীসিং পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীদের হামলায় ফাহমিদা সুলতানা নামের এক নারী আহত হন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
ভুক্তভোগী দম্পতি রাশিদুর রহমান ও ফাহমিদা সুলতানা রাজধানীর ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত। তাঁদের পরিবার রাজশাহী নগরের দেবীসিং পাড়ায় বসবাস করে।
রাশিদুর রহমান জানান, শুক্রবার ভোরে ফজরের নামাজের সময় তাঁরা একটি বাসযোগে ঢাকা থেকে রাজশাহীতে পৌঁছান। নগরের তালাইমারি মোড়ে বাস থেকে নেমে তাঁরা একটি রিকশা ভাড়া করে দেবীসিং পাড়ার উদ্দেশে রওনা হন। বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছালে তিনি রিকশা থেকে নেমে পড়লেও, তাঁর স্ত্রী ফাহমিদা সুলতানা রিকশায় ছিলেন। তখনই দুজন ছিনতাইকারী তাঁদের সামনে গিয়ে ধারালো অস্ত্র বের করে হুমকি দেয়।
রাশিদুরের ভাষ্য অনুযায়ী, ছিনতাইকারীরা তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ২৬ হাজার টাকা এবং ব্যাংকের পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেয়। বাধা দিতে গেলে ফাহমিদা সুলতানা ছুরির কোপে বাঁ হাতে আঘাত পান। এ সময় তাঁর পরিধেয় বোরকাও ছিঁড়ে যায়।
তিনি বলেন, “ঘটনার সময় কাছাকাছি একটি মাদ্রাসা-মসজিদে নামাজ চলছিল। আমি চিৎকার করে সাহায্য চাইলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। ছিনতাইকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।”
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, ছিনতাইকারীদের একজনের মাথায় হেলমেট থাকলেও অন্যজনের মুখ খোলা ছিল। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে একজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হতে পারে।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহমেদ লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, “বিষয়টি তদন্তে একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ছিনতাইকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”
এদিকে, সম্প্রতি রাজশাহী নগরীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়ছে বলে স্থানীয়রা দাবি করছেন। এর মাত্র চার দিন আগে, ৩ জুন ভোরে নগরের মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ছিনতাইকারীর রামদার কোপে গুরুতর আহত হন পুলিশ কর্মকর্তা রেজাউল করিম (৪৫)। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ বলছে, এসব ঘটনার তদন্ত চলছে এবং শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত নজরদারি জোরদার করা হচ্ছে।