নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়ন ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিতে সদস্য সচিব ও যুগ্ম আহ্বায়কসহ অন্তত পাঁচজন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে পদ প্রদান নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠলে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের পদ স্থগিত করা হয়।
সোমবার রাতে ঘোষিত ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িতদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান বিপুল ও সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম খান কাননের স্বাক্ষরে প্রকাশিত কমিটির তালিকাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পরপরই স্থানীয়ভাবে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকেই অভিযোগ করেন, কমিটির সদস্য সচিব সাব্বির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক রমজান আলী এবং সদস্য আব্দুল্লাহ, সাগর ও জাফর আলী পূর্বে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। এমনকি তাদের পুরনো মিছিল ও সভায় অংশগ্রহণের ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জোনাইল বাজারে ছাত্রদলের আয়োজিত আনন্দ মিছিল ও পথসভায় বক্তৃতাকালে সদস্য সচিব সাব্বির হোসেন ‘আমরা ছাত্রলীগ কর্মী’ বলে উল্লেখ করলে বিষয়টি আরও বিতর্কের জন্ম দেয়। সংশ্লিষ্টরা তাৎক্ষণিকভাবে বক্তব্য সংশোধন করলেও ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় বুধবার উপজেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে পাঁচজনের পদ স্থগিত করা হয়। উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
ছাত্রদল নেতা তুষার হাসান বলেন, “কমিটিতে কমপক্ষে ১২ জন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এভাবে অনুপ্রবেশের সুযোগ দেওয়া মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।”
উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান বিপুল বলেন, “একটি বেফাস বক্তব্য ও সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচজনের পদ স্থগিত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রাজনীতিতে ছাত্রদলের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংগঠনের ভেতরে-বাইরে সমালোচনার তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে।