আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য “পর্যটন এবং টেকসই রূপান্তর।বিশ্বজুড়ে পর্যটন শুধু বিনোদন বা ভ্রমণ নয়, বরং এটি অর্থনীতির বড় চালিকাশক্তি।
পর্যটন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে, স্থানীয় অর্থনীতিকে গতিশীল করে, অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করে এবং জাতীয় জিডিপির বাইরে সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পর্যটন মানুষের মধ্যে বন্ধন গড়ে তোলে, সংস্কৃতির মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, ঐতিহ্য সংরক্ষণে ভূমিকা রাখে এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের সমৃদ্ধিকে সামনে নিয়ে আসে। তবে নিয়ন্ত্রণহীন পর্যটন অনেক সময় পরিবেশ ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য ক্ষতির কারণও হয়ে দাঁড়ায়।
জাতিসংঘের বার্তায় বলা হয়েছে, যখন বিশ্ব জলবায়ু সংকট ও ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের মুখোমুখি, তখন প্রয়োজন সাহসী, জরুরি ও টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা ও দক্ষতায় বিনিয়োগ, বিশেষ করে নারী, যুবসমাজ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য; ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহায়তা; এবং পর্যটন খাতে নির্গমন হ্রাস, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ভঙ্গুর বাস্তুতন্ত্র রক্ষার পদক্ষেপ।
বিশ্ব পর্যটন দিবসের এ দিনে আহ্বান জানানো হয়েছে, পর্যটনের শক্তিকে রূপান্তর, স্থিতিস্থাপকতা, স্থায়িত্ব এবং সকলের জন্য যৌথ অগ্রগতির মাধ্যম হিসেবে কাজে লাগানোর জন্য।