গাজীপুর প্রতিনিধিঃ ওপেন মার্কেট সেল বা ওএমএস প্রকল্প একটি সরকারি মানবিক কাজ। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার দেশের বৃহত্তর জনগোষ্টীর জীবনধারা সমুন্নত রাখার জন্য কম সময়ে ও মূল্যে খাদ্যপণ্য সরবারহ করে থাকে। উদ্দেশ্যটি মহৎ হলেও ক্ষুদ্র একটি গোষ্টীর স্বার্থে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রকল্পটি। ওএমএস কর্মসূচির চাল ও আটা সঠিক নিয়মে বিক্রির জন্য সরকার নির্ধারিত নিয়মনীতি থাকলেও মানেন না নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলার মোঃ আশিক উল্লাহ। অপরদিকে সরকারের এই প্রকল্প দেখভাল করার দায়িত্ব যাদের ওপর ন্যস্ত সেই সরকারী লোকেরা যেন আরো বেশী বেসামাল! সরেজমিনে মাওনা এলাকায় অবস্থিতমোঃ আশিক উল্লাহর মালিকানাধীন মেসার্স আদিব, এন্টারপ্রাইজের ডিলারশপ ঘুড়ে দেখা যায়, অনিয়ম আর অসঙ্গতির মাধ্যমেই সরকারী চাল, আটা, গম বিতরন করছেন। অভিযোগ রয়েছে, সরকার নির্ধারিত দর ও পরিমান কোন কিছুই মানেন না তিনি। আবার ডিলারশীপ নিজ নামে থাকলেও তা পরিচলনা করেন তার এক নিকট আত্মীয়। এবিষয়ে ভোক্তা আলামিন বলেন, আমি তিন কেজী আটা নিয়েছি ৬০ টাকা দিয়ে। আলামিনের সাথে সূর মিলিয়ে রায়হানও জানালেন একই অভিযোগ। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল! অর্থাৎ স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায়, ডিলার মোঃ আশিক উল্লাহ গাজীপুর ০৩ সাবেক সাংসদ এর আস্থাভাজন পরিচয়ে ওএমএস এর ডিলারশীপ পেয়েই শুরু করেন তার নিজস্ব নিয়ম। সেই নিয়ম অনুযায়ী তিনি একেক জনকে ৩০ কেজী চাল দিতেন একেক দামে! যদিও নির্দেশনায় দেওয়া আছে যে, জনপ্রতি ৫ কেজী চাল ত্রিশ টাকা দরে, ও ৫ কেজী আটা ২৪ টাকা দরে বিক্রী করতে হবে। আবার নির্দেশনা থাকলেও পন্য ও দামের সংবলিত ব্যানার ব্যবহার করছেন না অত্যান্ত ক্ষমতাধর আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ আশিক উল্লাহ! অনিয়ম অসংগতির বিষয়ে ডিলার মোঃ আশিক উল্লাহর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন “এসকল বিষয়ে কথা বলি তাদের সাথে, কোন অনিয়ম তো হওয়ার কথা না, আমি স্টংলি বলে দিছি। তিনি আরো জানান বৈরাগিচালা মুরাদের বাবার ডিলারের পাশাপাশি এই পয়েন্টটিও দেখাশুনা করে মুরাদ। এর কিছু সময় পর( ১০ মিনিট )আশিকের ভাগিনা পরিচয়ে মুরাদ ফোন করে জানতে চান সমস্যা কি? তাকে সমস্যার বিষয় অবহিত করলে তিনি বলেন, ” এরকম কিছু নাই, বিষয়টি দেখছি”। সার্বিক বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম বলেন, এরা শেয়ার মিয়ারে থাকে তো ভাই, এতো কিছু দেখতে গেলে ডিলার…।ডিলার হয়তো অন্য কাজে থাকে পরে টাকা পয়সার লাভটাব হয়তো নেয়।