বিশেষ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের যমুনা নদীর তীরে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানাধীন তেওতা জমিদার বাড়ি পরিদর্শন করেন ঢাকা জেলার “আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাব” এর নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ), সাধারণ সম্পাদক মোঃ কলিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ চিশতী, সহ-সভাপতি মোঃ কহিরুল ইসলাম (খাইরুল), সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলতাব হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য দাউদুল ইসলাম নয়ন, পলাশ হাওলাদার, ইমরান হোসেন, নাজমুল ইসলাম, মোকাম্মেল মোল্লা সাগর, মোশারফ হোসেন, আল-আমিন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোছাঃ গোলাপী আক্তার (তিশা)সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। গত (ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ২০২৪ইং তারিখ এই উক্ত জমিদার বাড়ি পরিদর্শন করা হয়)।জানা গেছে, ১৭৭০ খ্রিষ্টাব্দে তেওতা জমিদার বাড়ি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা-জমিদারের নামঃ প ানন রায় চৌধুরী। এই জমিদার বাড়ির ক্যাম্পাসের জমির পরিমাণ প্রায় ৮ (আট) একর। জমিদার পরিবারের অন্যান্য বিখ্যাত জমিদারদের মধ্যেই ছিলেন, রাজা শ্যামাশংকর রায়-পূর্ববঙ্গ জমিদার সমিতির সহ-সভাপতি। মানিকগঞ্জ শহরে জুবিলি হল প্রতিষ্ঠা করেন এবং তিনি ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম সদস্য ছিলেন। প্রাণ শংকর রায়-অলবেঙ্গল ল্যান্ডলড অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। হর শংকর রায়-কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবি ছিলেন এবং পরে তেওতা বেে র অনারারি ম্যাজিষ্ট্রেট ছিলেন। পর্বতী শংকর রায় ঢাকা জেলা বোর্ডের সদস্য ছিলেন। তিনি শিবালয়-ঢাকা রেলপথের প্রস্তাবক ছিলেন। কিরন শংকর রায় রাজনীতিবিদ ও লেখক ছিলেন। তিনি পশ্চিম বঙ্গের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পশ্চিম বঙ্গের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য ছিলেন। কুমুদ শংকর রায়-ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত চিকিৎসক ছিলেন। তিনি ভারতের যাদবপুরে “কুমুদ শংকর টিবি হাসপাতাল” প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বিরোধী দলের চীপ হুইপ ছিলেন। উক্ত জমিদার বাড়ির দর্শনীয় বিষয়ঃ প্রাচীন মোগল ও ইউরোপীয় স্থাপত্যে নির্মিত বিভিন্ন একতলা ও দ্বিতল ভবন, মন্দির, নবরতœ দোলম , টালির কাচারিঘর, দেউরি ও কবি কাজী নজরুল-প্রমিলা ম । মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার তেওতা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও অফিস সূত্রে জানা গেছে, সেখানকার আয়তন ৫৩.৫৭ বর্গ কিলোমিটার। লোকসংখ্যা মোট ৩৭.৭৩৫জন। পুরুষ-১৭.৭৯৫জন, মহিলা-১৭.৯৪০জন। ভোটার সংখ্যা-২৯.৩৮২জন। ৩৯টি গ্রাম, ৯টি ওয়ার্ড ও ৩২টি মৌজা। পাকারাস্তা ২৫ কিঃ মিঃ ও কাঁচারাস্তা ৫৭ কিঃ মিঃ। নৌ-পথ ১৪কিঃ মিঃ ও খেয়াঘাট ৩টি। সেখানে মোট জমির পরিমাণ ৫৩৬৭ হেক্টর। দেখা যায়, উক্ত জমিদার বাড়িটি কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ভাঙ্গা ভবনগুলো। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ এই জমিদার বাড়িটি দেখতে আসেন, সরকারি ভাবে উক্ত জমিদার বাড়ির ভবনগুলো সংস্কার করার দাবী জানিয়েছেন আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ সেখানকার জনসাধারণ ও সচেতন মহল।