ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফেনীর উপকূলীয় এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় ফেনীর সোনাগাজীতে অর্ধশত আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখাসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
দূর্যোকালীন সময়ে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানরতদের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার, চিড়া, গুড়, মুড়ি, বিস্কুট, ৫০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ টয়লেটের ব্যবস্থা করাসহ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। রিমালের প্রভাবে শনিবার (২৫মে) সন্ধ্যার পর থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও হালকা বাতাস বইতে শুরু করে।
রোববার সকাল থেকে দূর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি রোধে রিমালের গতিবিধি পর্যালোচনা করে চারটি ইউনিয়নের উপকূলীয় বাসিন্দাদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসারও বিষয়ে প্রচারণা চালানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনলাইনে (জুম মিটিং) দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন অংশ নেন। সভা শেষে ঘূর্ণিঝড়ের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যক্ষেণ করতে প্রশাসনের কর্মকর্তা, সিপিপির কর্মকর্তা, দল নেতা, স্বেচ্ছাসেবক ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে উপকূলীয় চারটি ইউনিয়ন চর দরবেশ, চর চান্দিয়া, সোনাগাজী সদর ও আমিরাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে লোকজনের খোঁজখবর নিয়ে তাদেরকে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সচেতনতাসহ আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছ।
উপজেলার দক্ষিণ পূর্ব চর চান্দিয়া এলাকার সিপিপির দল নেতা নুর নবী জানান, শুক্রবার বিকেলে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত শুনার আগে থেকে তারা এলাকায় মাইকিং করে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণের প্রস্তুতি নিতে বলছেন। এছাড়া গবাদিপশুগুলো নিরাপদে সরিয়ে নিতে প্রচারণা চালাচ্ছেন। চর
চান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের সর্তকবার্তা পেয়ে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য ও সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে সভা করে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুনি নিয়ে মাঠে কাজ করছেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ও দূর্যোগ মোকাবিলায় এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনাসহ জনগণকে সর্তক করার লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় সোনাগাজীতে অর্ধশত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রসহ উপজেলার সব কয়টি বিদ্যালয়কে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
উপজেলায় একটিস নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে এবং ১৪টি চিকিৎসক দল, জনপ্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও ভিডিপি এবং গ্রাম পুলিশের সদস্যরা মাঠে কাজ করবেন। দূর্যোগকালীন উদ্ধার তৎপরতাসহ বিভিন্ন কাজের জন্য সিপিপির দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবকসহ আড়াই হাজার কর্মী প্রস্তুত রয়েছে।