৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে সারাদেশের ন্যায় রাজশাহীর এ উপজেলার নির্বাচন শেষ হয়। নির্ধারিত সময় বুধবার সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়, বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণ শেষে গণনা করা হয়।
বুধবার (৫ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চারঘাট উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচনের বেসরকারী ফলাফল ঘোষণা করেন।
ফলাফলে চারঘাট উপজেলায় মোটরসাইকেল প্রতিক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কাজী মাহমুদুল হাসান বিজয়ী হয়েছেন।
প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, চারঘাট উপজেলায় তিনজন প্রার্থীর মধ্যে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে মাহমুদুল হাসান ৩২ হাজার ২৮১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফকরুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৪১ ভোট। এছাড়াও গোলাম কিবরীয়া ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২২ হাজার ২১০ ভোট।
তবে টাঙ্গুন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আনারস প্রতীকের ভোট বাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠলে এবং ভোট গননায় অমিলের অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় জনতার সাথে পুলিশ ও আনারস প্রতীকের সমর্থকদের সাথে গন্ডগোল এবং মারামারি হয়েছে।
এলাকার স্থানীয় জনতা এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য দিয়ে আরো বলেন, বিজিবি ও পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে এবং টাঙ্গুন বালুর ঘাট বাজারে অন্যায় ভাবে চায়ের দোকান সহ কয়েকটি দোকানের টিন ও চেয়ার ভাংচুর করার অভিযোগ করেছে। এ নিয়ে এলাকায় অসন্তোষ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে। স্থানীয় জনতা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সু দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে চারঘাট উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইদা খানম এ উপজেলার বেসরকারী ফলাফল ঘোষণা করেন।