মোঃ আবদুল রহিম: ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে ফেনীর মুহুরী ও কহুয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের চারটি স্থান ভেঙে জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। আকস্মিক এ বন্যার ফলে এ দুই উপজেলার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।বন্যা কবলিত এলাকার বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বেশকিছু ঘরবাড়ি,দোকানপাট,ফসিল জমি,পুকুর ও মাছের খামার তলিয়ে গেছে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার (০২ জুলাই) দুপুরের দিকে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম সহ জেলা প্রশাসক মুসাম্মৎ শাহীনা আক্তার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (০১ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলার ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের তিনটি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে ওই উপজেলার উত্তর দৌলতপুর ও দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া পরশুরাম উপজেলার দক্ষিণ শালধর এলাকার জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন বাঁধের একটি অংশেও একই সময় ভাঙন দেখা যায়। এতে ওই উপজেলার মালিপাথর, নিলক্ষ্মী এবং পাগলিরকুল এলাকা প্লাবিত হয়। পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণ শালধর এলাকার জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন মুহুরী নদীর বাঁধে এ ভাঙনের শুরু হয়। ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম বলেন, উজানের পানিতে মুহুরী নদীর পানি বেড়ে ফুলগাজী বাজারে প্রায় দুই ফুটের বেশি ওঠে গেছে। দৌলতপুর এলাকায় বেড়িবাঁধের তিনটি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দৌলতপুর থেকে জগতপুর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, নদীর পানিতে ফুলগাজী বাজার ও লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। দুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ফুলগাজীর তিনটি ও পরশুরামের একটি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। বাঁধের বিভিন্ন অংশে ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।