দৈনিক চৌকস: প্রতিনিধি
খোন্দকার মেজবাউল ইসলাম
রাজশাহী মোহনপুর জাহানাবাদ ইউনিয়নের ধৌড়সা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বারো নই নদী।
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ এই বারো নই নদী, আত্রাই নদীর একটি শাখা নদী কথায় আছে ভাতে মাছে বাঙালি। অনেক গরিব দুঃখী মানুষ এই নদীতে মাছ শিকার করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে অথচ এলাকার একটি প্রভাবশালী স্বার্থন্বেষী মৎস্য শিকারি নদীতে অবৈধভাবে নদীর পানি বন্ধ করে অভিনব কায়দায় দীর্ঘদিন যাবত পোনা মাছ স্বীকার করে আসছেন।
সংরক্ষিত অভয় আশ্রমের অনেক জায়গায় মা মাছ অবস্থান করেন। এই নদীতে যে সকল মা মাছের ডিম থেকে পোনা তৈরি হয় তারাও ছাড় পাচ্ছে না
এই অবৈধ অভিনব কায়দায় মৎস্য শিকারীদের হাত থেকে। এলাকার অনেক গরিব মানুষ বলেন, আমরা প্রতিবছরে এই নদী থেকে মাছ ধরে আমাদের জীবিকা নির্বাহ করি অথচ প্রতিবছর একটি কুচক্রী মহল এই সুতি জাল দিয়ে পানি বন্ধ করে মাছ আহরণ করেন। আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে জানালে
স্থানীয় প্রশাসন আমাদেরকে এসে এই অবৈধ মৎস্য শিকারীদের বাঁধ উন্মুক্ত করে দিয়ে যান। কিছুদিন পর আবারো তারা এই কাজগুলোর সাথে লিপ্ত হয়। সব মিলিয়েই নদীর ছোট বড় কোন মাছ এই অবৈধ মৎস্য শিকারির হাত থেকে ছাড়া পায় না। আজ ১৯/৯/২৪ দুপুর ২ টার দিকে আমরা গ্রামবাসী একত্রে হয়ে স্থানীয় মোহনপুর থানা উপজেলা প্রশাসনকে ফোন করলে, মোসা: জুবাইদা সুলতানা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহনপুর
বারনই নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন অভিযান পরিচালনা কালে জব্দ করেন, জাল, দড়ি, বাস এবং আনুমানিক ৫০কেজির মতো মাছ।
এই মাছ মোসাঃ জোবাইদা সুলতানা এতিমখানার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করে দেন।
অভিযান পরিচালনাকালে সহযোগিতা করেন, মোহনপুর উপজেলা মৎস্য অফিসার, মোহনপুর থানার এস,আই কনস্টেবল এবং এলাকার সাধারণ জনগনেরা।
মোসা: জোবাইদা সুলতানা বলেন, এভাবে পোনা মাছ শিকার করা অবৈধ এরকম অভিনব কায়দায় পোনা মাছ শিকার করা দ্বন্দ্বনীয় অপরাধ।
মোসাঃ জুবাইদা সুলতানা আরো বলেন, নদীতে অবৈধভাবে মৎস্য শিকার যারা করবেন তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।