নিউজ ডেস্কঃ বিশ্বখ্যাত নিটিং মেশিনারি এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নিংবো সিশিং কোং লিমিটেডের আয়োজনে ‘সিশিং বাংলাদেশ নাইট প্রোডাক্টস প্রমোশন মিটিং’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে দেশের ৩০০-এর বেশি প্রভাবশালী সোয়েটার উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং শীর্ষ নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, বাংলাদেশের বিখ্যাত ফ্যাশন স্কুল বিজিএমইএ ফ্যাশন টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি (বিইউএফটি) এই আয়োজনে অংশ নেয়, যেখানে নিটিং শিল্পে উচ্চমানসম্পন্ন দক্ষতা উন্নয়নের সহযোগিতার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করা হয়।ভবিষ্যৎ দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে সিশিং বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর মধ্যে রয়েছে বিএসকেএল এবং সিশিং, নিট এশিয়া এবং সিশিং, বেটটেক্স এবং সিশিং, নেক্সাস এবং সিশিং, টুয়েলভটেক্স এবং সিশিং, এবং সোয়েটারটেক এবং সিশিং। এই চুক্তিগুলো বাংলাদেশের নিটিং শিল্পে সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।অনুষ্ঠানে সিশিং সোয়েটার ডিজাইন টিমের সাম্প্রতিক কাজের উপর একটি চমকপ্রদ ফ্যাশন শো আয়োজন করা হয়। এই শোতে সিশিং-এর পণ্য, প্রযুক্তি এবং শিল্পের অনন্য সুবিধাগুলো তুলে ধরা হয়। এটি স্থানীয় শিল্পকে আমূল পরিবর্তন করার সম্ভাবনা এবং নতুন-পুরোনো গ্রাহকদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব তৈরির উপর গুরুত্ব আরোপ করে।সিশিং গ্রুপের চেয়ারম্যান ফ্র্যাঙ্ক সান তার বক্তব্যে বলেন, “বিশ্বের নেতৃস্থানীয় ইন্টেলিজেন্ট নিটিং যন্ত্রপাতি এবং ডিজিটাল নিটিং ফ্যাক্টরি সলিউশনের সরবরাহকারী হিসেবে আমরা সর্বদা নিটিং শিল্পে উদ্ভাবন এবং উন্নয়নের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।”তিনি আরও বলেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা গবেষণা ও উন্নয়নে বার্ষিক গড়ে ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছি, যা কোম্পানির টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করে। আমাদের প্রযুক্তি, পণ্য এবং সেবাগুলো সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ২০২৩ সালে আমরা প্রায় ৩০,০০০ ইউনিট বিক্রি করেছি এবং ২০২৪ সালে বিক্রয় সংখ্যা ৪০,০০০ ইউনিটে পৌঁছাবে বলে আশা করছি। এখন পর্যন্ত, সিশিং-এর পণ্যের বৈশ্বিক বাজার শেয়ার প্রায় ৩০%-এ পৌঁছেছে এবং বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩,০০,০০০ ইউনিট চালু রয়েছে।”ফ্র্যাঙ্ক সান আরও বলেন, “বাংলাদেশ, যা বৈশ্বিক পোশাক শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, সবসময় আমাদের বিশেষ আগ্রহের জায়গা। আমরা বিশ্বাস করি, যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পে বিপ্লব আনতে পারব, শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারব, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারব এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারব।”সিশিং-এর এই উদ্যোগ নিটওয়্যার উৎপাদনে উদ্ভাবন এবং উৎকর্ষতার প্রতি একটি যৌথ দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে। এটি বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পের জন্য সহযোগিতা এবং উন্নয়নের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করছে।