খুলনা জেলা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির খুলনা মহানগর শাখার উদ্যোগে জুলাই গনহত্যার বিচার দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৭ নভেম্বর বিকাল তিন টা ১৫ মিনিটে খুলনা মহানগরী প্রান কেন্দ্র ডাকবাংলা মোড় থেকে জুলাই গনহত্যা বিচারের দাবিতে জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহের অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শিববাড়ি মীর মুগ্ধ চত্বরে এসে শেষ হয়। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য আরাফাত হোসেন মিলনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি এস এম নুরুল্লাহর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় ছাত্র কল্যান ফাউন্ডেশনের সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্র আন্দলোন সম্পাদক মো: আমিরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাবেক তথ্য সম্পাদক ও মহানগরীর সাবেক সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী,কেন্দ্রীয় সাবেক স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক মহানগরীর সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন আনসারী,খুলনা উওর জেলা সভাপতি হাফেজ বেল্লাল হুসাইন রিয়াদ,দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবু জর গীফারী,বাগেরহাট জেলা সভাপতি সাঈফ হাসান,সেক্রেটারি মোর্শেদুল ইসলাম, উওরের সেক্রেটারি ইউসুফ ফকির, দক্ষিনের সেক্রেটারি মো: ওয়ায়েজ কুরুনী।সমাবেশে প্রধান অতিথি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের হিন্দু ভাইদের কাজে লাগিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে। চট্রগ্রামে প্রকাশ্যে আইনজীবী আলিফ ভাইকে ইসকনের ব্যানারে কিছু সন্ত্রাসী কুপিয়ে হত্যা করেছে। হিন্দুদের বলতে চাই, আপনাদের সাথে আমাদের কোন বিরোধ নেই।হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই।জুলাই বিপ্লবের রক্ত দিয়ে দেশ সাধীন হয়েছে। হিন্দু ভাইদের অনুরোধ,আপনারা ষড়যন্ত্রে পা দেবেন না।চব্বিশের গনহত্যায় যারা জড়িত, তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে বাংলার মাটিতে বিচার করতে হবে।অভ্যুথানের তিন মাস পার হলেও আওয়ামীলীগ ও তার দোসরদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই।চব্বিশের গনহত্যায় যারা জড়িত, তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে বাংলার মাটিতে বিচার করতে হবে। অভ্যুথানের তিন মাস পার হলেও আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের সন্ত্রাসীরা যে বর্বর হামলা চালিয়েছে তাতে হাজারো প্রান ঝরে গেছে, যা ইতিহাসে নজিরবিহীন। শহীদ আবু সাঈদ,শহীদ মীর মুগ্ধ সহ অসংখ্য ছাত্র নেতা ও ছাত্র শিবির কর্মিকে শহীদ করা হয়েছে। এই গনহত্যায় রাস্ট্রের সব শক্তি প্রয়োগ করে ছাত্র জনতার উপর নিপিড়ন চালানো হয়েছে। খুলনা মহানগর সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন বলেন,শিক্ষর্থীরা যে সপ্ন ও আকাংখা নিয়ে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েছিল, তা তখনই পুর্ন হবে যখন এই হত্যা যজ্ঞের নায়কদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।আমরা দেশের বিচার ব্যাবস্থা ও সামগ্রিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিচার দাবি করছি।এ সময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, তাদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের কারনে জাতী আজ চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এখনো তারা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। কিন্তু দেশের জনগন তাদের আর বরদাস্ত করবে না।চব্বিশে যারা এই গনহত্যার সাথে জড়িত তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে বাংলার মাটিতে বিচার করতে হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারন করেন।তা না হলে ছাত্র জনতা বিচার করবে।জুলাই অভ্যুত্থানে হিন্দু মুসলমান সহ সকল ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে আন্দোলন করেছিলেন ছাত্র জনতা।কিন্তু পতিত সরকারের দোসর ও দিল্লীর ষড়যন্ত্রে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর ষড়যন্ত্র চলছে। সেই উদ্দেশ্য চট্রগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে সাইদুর রহমান,ইস্রাফিল হোসেন, ইমরানুল হক,হাবিবুল্লাহ রাজু,আসিফ বিল্লাহ,সোলায়মান আবিদ,আবুল হাসান মারুফ বিল্লাহ,খায়রুল বাশার,হযরত আলী,বেল্লাল হোসেন, তারেক রহমান, মিলন হোসেন রাজ,ইমরান খান,মুহতারাম বিল্লাহ,মো: মহিবুল্লাহ,আব্দুর রশিদ, শিবলুর রহমান,কামরুল হাসান,আল আমিন, সেলিম হোসেন, মিরাজুল ইসলাম, আল আমিন, নাইমুল ইসলাম, লিমন হোসেন জিহাদ উপস্থিত ছিলেন।