কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশের প্রতি অশ্রুসজল নয়নে কৃতজ্ঞতা জানালো এক অসহায় গৃহিণী।বাংলাদেশ পুলিশের কেরানীগঞ্জ থানার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এক ভুক্তভোগী গৃহিণী বলেন;
দ্রুততম সময়ে জীবনের নিরাপত্তা ও সঠিক সেবা পেয়েছেন বলে এক অসহায় গৃহিণী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কেরানীগঞ্জ থানার কর্তব্যরত পুলিশদের প্রতি।
ভুক্তভোগী গৃহিনী বলেন যে, কেরানীগঞ্জের ইসলামনগর, আটি নয়াবাজার, ঢাকা এলাকায় গতকাল ১৬ই ডিসেম্বর দুপুর তিনটার দিকে তার স্বামীর বাসায় পারিবারিকভাবে সমস্যায় পড়েন তিনি। ওই নারী বিয়ের সময় তার স্বামীকে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেন এবং এবং বিয়ের পর ৩৩ দিনের মাথায় নতুন করে আরো যৌতুক দাবি করে বসেন তার স্বামী এবং যৌতুক না দিলে সে আরেকটি বিয়ে করার ভয়ভীতি দেন ওই গৃহিণীকে। তখন ভুক্তভোগী উপায়ান্তর না পেয়ে ওই গৃহিনীর ছোট ভাইয়ের মাধ্যমে কেরানীগঞ্জ থানায় ডিউটি অফিসারের কাছে ফোন করে সাহায্য চায় এবং ডিউটি অফিসার তাৎক্ষণিক এস,আই, আনোয়ার এর ফোন নাম্বার দেন তাদেরকে।
অতঃপর এস,আই, আনোয়ারকে তার ছোট ভাই বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই এস,আই, আনোয়ার তার টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন।
এবং বিষয়টি নিয়ে এস,আই, আনোয়ার প্রায় ২ ঘন্টা ধৈর্যের সহিত বসে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এবং জামাইয়ের সাথে কথা বলেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং গৃহিণীকে বলেন এই ধরনের যৌতুক যদি ভবিষ্যতে আর চাওয়া হয় তাহলে তাকে ( গৃহিণীর স্বামীকে) আইনের আওতায় আনা হবে এবং আপনি এই বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই গৃহিণী উল্লেখ করে বলেন ভুক্তভোগী হিসেবে পুলিশের এই মানবিক ও আন্তরিক সহযোগিতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। উক্ত ঘটনায় আমি কেরানীগঞ্জ থানা সহ বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে এস,আই, আনোয়ার দৈনিক আজকের বাংলা কে বলেন ; আমাদের মাননীয় এস,পি, মহোদয় এবং অফিসার ইনচার্জ স্যারের নির্দেশনা হচ্ছে অভিযোগ আসার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে হবে।
এবং ভুক্তভুগীদের সহযোগিতা করতে হবে।
আমরা সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে থাকি, পুলিশ হলো রাষ্ট্র কর্তৃক ক্ষমতা প্রাপ্ত ব্যক্তিদের গঠিত একটি সংস্থা যার লক্ষ্য সঠিক আইন প্রয়োগ করা এবং জনসাধারণের জানমালের পাশাপাশি দেশের আইন- শৃঙ্খলা রক্ষা করা। এর মধ্যে সাধারণত নাগরিকদের নিরাপত্তা,স্বাস্থ্য ও সম্পত্তি নিশ্চিত করা এবং অপরাধ ও নাগরিক বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ করা অন্তর্ভুক্ত। পুলিশ জনগণের সেবক ও বন্ধু। জনসাধারণের কাছ থেকে পুলিশের কৃতকর্মের প্রশংসা পেলে পুলিশ তাদের কর্তব্য পালনে আরো উৎসাহী হয় আমাদের কাজই হচ্ছে সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে দেশ মাটি ও মানুষের জন্য নিজেকে নিয়োজিত রাখা।