1. sokalerbangla@gmail.com : admin :
  2. dainikchoukos@gmail.com : jahid hasan : jahid hasan
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৮ অপরাহ্ন
সদ্য প্রাপ্ত:-
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ৬দফা দাবিতে রেল অবরোধ । জমি নিয়ে বিরোধের জের ,মাথায় ১৬টি সেলাই নিয়ে এসএসসি পরিক্ষা দিচ্ছে বাগাতিপাড়ায় মহিদুল সাংবাদিক ও কবি সৌমিত্র দেব আর নেই টাঙ্গাইলে সেপটিক ট্যাংকে ছাত্রের লাশ উদ্ধার রাজশাহী আরএমপি’র পবা থানা পরিদর্শনে পুলিশ কমিশনার ঘাটাইলে চিতাই খাল পুনঃখনন কার্যক্রমের উদ্বোধন এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব অবহেলায় তিন শিক্ষককে অব্যাহতি শিমুলতলায় অবৈধ গ্যাস সংযোগে অভিযান, শতাধিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন রিকশা গ্যারেজের আড়ালে বাহাদুরের গাঁজা ব্যবসা: গ্যারেজে আসর, সরবরাহে মামুন” রাজশাহী মোহনপুর উপজেলা চত্বরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলা নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে শীত উপলক্ষে পিঠা খাওয়ার ধুম

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশের সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৫

শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী শীতের তীব্রতাই পিঠা খাওয়ার ধুম।

শীতকাল অনেকের খুব পছন্দ। আবার অনেকেই শীতে জবুথবু। অনেকে সারা বছর ধরে ডিসেম্বর- জানুয়ারি মাসের জন্য অপেক্ষা করেন। শীতের মধ্যে পড়ে বছর শেষের ছুটি। বেড়াতে যায় অনেকে। আত্মীয়বাড়িতে আপ্যায়ন হয় ধুমধাম করে।

শীতের সময় সবার হাতে অবসর কাটানোর মতো সময় থাকে। এ সময়ে স্কুল-কলেজ, কোচিং, পড়ালেখার ছুটি। মা-বাবারাও কিছু দিনের জন্য কাজ থেকে বিরতি নেন।

গ্রামে, নানাবাড়ি বা দাদাবাড়িতে সেখানে সব ভাইবোনদের একসঙ্গে জড়ো হলে আনন্দের সীমা থাকে না।

প্রতিদিন সকালে লেপ-কম্বলের আরাম ছেড়ে মোটা মোটা শীতের পোশাক পরে নাস্তায় হাতে বানানো কোনো না কোনো পিঠা খাওয়া হয়।

খেজুরের রস চুলার ধারে বসে খাওয়া চলে। সারা দিনই পিঠার আয়োজন, বাড়ির কোনো প্রতিবেশি মেহমান এসেছে শুনে নিজেরাও বানিয়ে পাঠানো চিরচেনা এইসব দৃশ্য যেন শীতকালের মূল ঘটনা। কিন্তু শীত এলেই কেন এত পিঠার আয়োজন করা হয়।

আমাদের দেশে শীতকাল ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠান, আয়োজনে সারা বছর পিঠা তৈরি হয়। তবে শীতকালে হরেক রকম পিঠার সংখ্যা চোখে পড়ে বেশি। এই প্রচলন নতুন নয়। ছয় ঋতুর মধ্যে পঞ্চম ঋতু শীত, আর তার আগে আসে চতুর্থ ঋতু হেমন্ত। হেমন্ত ঋতু মানে নবান্ন উৎসব। এই সময়টায় সোনারাঙা আমন ধান ঘরে তোলেন কৃষক। ধান ভেঙে আসে নতুন চাল। এর কিছুদিন পরই আসে শীতকাল। তাই হেমন্তের নতুন চালে পিঠা বানানোর ধুম পড়ে শীতে। বানানো হয় ভাপা পিঠা, চিতই, পাটিসাপটা, পুলি, দুধ পুলি বা দুধ চিতই, মালপোয়া, নকশিপিঠার মতো হরেক ধরনের পিঠা। আবার শীতকালে পাওয়া যায় খেজুরের রস। অনেকেই গাছ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করে তা দিয়েও তৈরি করে বাহারি সব পিঠা। খেজুরের গুড়ও পিঠা তৈরির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। এই দুই মিলে শীতকাল ঋতুটা হয়ে যায় পিঠা উৎসবের ঋতু।

গ্রাম বাংলায় শীতের এই দৃশ্যের চল দেখা গেলেও শহরে সেভাবে লক্ষ্য করা যায় না। তাই শহরে শীত এলেই রাস্তার ধারে দেখা যায় বিভিন্ন পিঠার ছোট ছোট দোকান। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান, সংগঠন আয়োজন করে পিঠামেলার। সেখানেও হরেক রকম বাহারি পিঠার দেখা মেলে। অনেকে আবার শত ব্যস্ততার মধ্যেও বাসায় তৈরি করে পিঠা।

ছুটির দিনে পরিবার মিলে উপভোগ করে সেই মুহূর্ত। যেভাবেই হোক না কেন, এক কথায় পিঠা ছাড়া যেন শীত জমেই না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved dailychoukas.com 2014-2025
Theme Customized BY LatestNews