ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিলো মনে নতুন কিছু করার। সেই স্বপ্ন আর আত্মবিশ্বাস থেকেই পথ চলা। মাঝপথে প্রতিবন্ধকতা, তারপরও হতাশায় রাতের ঘুম নষ্ট না করে আগামী দিনের সোনালী স্বপ্নকে বুকে লালন করে অবশেষে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছেন আত্মপ্রত্যয়ী জাহিদুল ইসলাম ।
তিন বছর সৌদি আরব প্রবাসী জীবন কাটিয়ে প্রায় খালি হাতেই দেশে এসে ব্যর্থ প্রবাস জীবন সমাপ্ত করে না পারা সেই ছেলেটির স্বপ্ন বুনন শুরু হয় তখন থেকেই। তারপর আস্তে আস্তে লক্ষ্যে এগিয়ে চলা। এক সময় কাজে ব্যাপক সাড়া পেলেও মাঝপথে আবার থমকে যাওয়া।
ধীরে ধীরে স্বল্প পরিসরে আবারো কাজ শুরু করা বলছি টাঙ্গাইল ঘাটাইল উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের নলমা গ্রামের ফজলুল মেম্বার এর ছেলে হস্তশিল্পের সফল উদ্যোক্তা জাহিদুলের সাফল্যের কথা।
অটল আত্মবিশ্বাস নিয়ে জাহিদুল ব্যর্থ প্রবাস জীবন শেষ করে প্রথম কাজ শুরু করেন ২০২৪ সালের জুন এর শেষের দিকে। মাঝে কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকলেও বর্তমানে বেশ ভালোই চলছে তার নারিকেলের আঁশের তৈরি বাবুই পাখির বাসা তৈরির কাজ। প্রতিদিন ৮’৯ বেকার নারী এ শিল্পের সাথে নিজেদের যুক্ত করে সচ্ছলতার মুখ দেখছেন। প্রতিটি বাসা বিক্রি হচ্ছে ২০০থেকে ৩০০ টাকা।
সেখান কাজ করে রহিমা তার সাথে কথা বলে জানতে পারি বাড়ির কাজের পাশাপাশি সে এখানে কাজ করে প্রতিদিন ৪০০’৫০০ টাকা উপার্জন করে। তিনি বেশ ভালোই আছে।
ছোট্ট খাট একটি ঘরেই তাদের হস্তশিল্প কাজ চলমান আছে। জাহিদুলের মা শাহিদা বেগম জানান আমার ছেলে ঢাকা শ্যামলী তে আর্টিফিশিয়াল ফুলের দোকান রয়েছে । আমরা গ্রামে থেকে এই হস্তশিল্প বাবুই পাখির বাসা তৈরি করে সেখানে পাঠাই এবং আমার ছেলে তা বিক্রি করে। ঘাটাইল উপজেলা প্রশাসন থেকে যদি তিনি কোন সাহায্য সহযোগিতা দেওয়া হত তাহলে আমার এই প্রতিষ্ঠান টি সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে পারতাম এবং গ্রামের বেকার নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতো।