স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর দক্ষিণখানে চোরাই মালামাল ও মাদকচক্রের গোপন কর্মকাণ্ড অনুসন্ধান করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এস-এর কয়েকজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত তিনজন সাংবাদিক। এ ঘটনায় দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দক্ষিণখান থানার কোটবাড়ী এলাকার সিয়াম স্টোর সংলগ্ন পাকা রাস্তায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। চ্যানেল এস-এর অনুসন্ধানী রিপোর্টার তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, একটি বাড়িতে মেট্রোরেলের চোরাই মালামাল কেনাবেচার তথ্যের ভিত্তিতে রিপোর্টারদের একটি দল অনুসন্ধানে যায়। তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের সময় হঠাৎ তাদের ক্যামেরায় মাদকের লেনদেনের দৃশ্য ধরা পড়ে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানানো হলে, পুলিশ আসার আগেই সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলায় রিপোর্টার মিজানুর রহমান (৩০) গুরুতর আহত হন। তার মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয়। সেখান থেকে একটি মোবাইল ফোন (ভিভো এক্স৮০) ও গোপন ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। ক্যামেরাপারসন শাকিল আল ফারুকী (২৯) এবং রিপোর্টার শান্ত ইসলাম (২৫) আহত হন এবং তাদের কাছ থেকে ক্যামেরা ও অন্যান্য সরঞ্জাম লুট করে নেয়া হয়।
চক্রটি ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের ব্যবহৃত ক্যামেরা ও অন্যান্য উপকরণ ভাঙচুর করে এবং চোরাই মালামাল ও মাদকের ভিডিও ফুটেজসহ মেমোরি কার্ড নিয়ে যায়। এতে প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরেই চোরাই পণ্য ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ফয়সাল নামে এক কিশোর গ্যাং লিডার যেকোনো প্রতিবাদে দলবল নিয়ে হামলা চালায় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
দক্ষিণখান থানার ওসি মোহাম্মদ তাইফুর রহমান মির্জা বলেন, “সাংবাদিকদের ওপর হামলা কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। ইতোমধ্যে এক নারী আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।”
আহত সাংবাদিক মিজানুর রহমান ও শাকিল আল ফারুকী বর্তমানে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।