তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৬নং একাটুনা ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের লন্ডন প্রবাসী মৃত : আব্দুল জব্বার এর পুত্র মোহাম্মদ আব্দুল আজিজের মৌরসী ভূমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী মুহিদ মিয়া (৬০), শাহ আলম (৩০), নুর আলম (২৬), কাওছার মিয়া (৬০), আক্তার মিয়া (৫০), গিলমান মিয়া (৪৮), জাবেদ মিয়া (৩৯) গংদের বিরুদ্ধে। শনিবার ১২ই এপ্রিল দুপুরে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ভুক্তভোগী প্রবাসী মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ জানান- মৌলভীবাজার সদর উপজেলার- মৌজা : বনগাঁও, জে এল নং- ৯৫, এসএ খতিয়ান নং-৭৮, এস এ দাগ নং- ১০০/১১৭, আর,এস খতিয়ান নং- ১৪২/৭১/১৪০, আরএস দাগ নং- ৯০ দাগে ৫০ শতক ও আর এস ৭৩ নং দাগে ০৫+০৬ = ১১ শতক। মোট মোয়াজি ৬১ শতক ভূমি মৌরসী সুত্রে প্রাপ্ত মালিক ও দখলদার হিসাবে ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্স ও খাজনা পরিশোধ করে আসিতেছি। স্ব-পরিবারে প্রবাসে বসবাস করার কারণে প্রতিবেশী মুহিদ মিয়া গংরা উক্ত ভূমিতে রোপনকৃত গাছ গাছালী কেটে নিয়ে উক্ত ভূমিতে জোরপূর্বক কাজ শুরু করেন। প্রতিবাদ করলে প্রানে হত্যা করার জন্য হুমকি দেন। বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্যদের অবগত করা হলেও সমাধান না হওয়ায় এ বিষয়ে মৌলভীবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত (পিটিশন মামলা নং- ৮৯/২৫ইং (সদর) দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত তপসীল বর্ণিত ভূমিতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারা জারী করেন এবং উভয় পক্ষকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এবং এতদবিষয়ে আগামী ১২ই মে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশকে নির্দেশনা প্রদান করেন। মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশ বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা অনুসরন করে সরেজমিনে উভয় পক্ষদ্বয়কে নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু- মুহিদ মিয়া গংরা বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে কাজ সহ যাবতীয় কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রতিপক্ষরা জোরপূর্বক কাজ করার বিষয়ে অবগত হয়েও মডেল থানা পুলিশ এ বিষয়ে কোন আইনানুগ প্রদক্ষেপ গ্রহন করেনি। উল্টো প্রবাসীকে হয়রানী বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। মুহিদ মিয়া গংরা স্থানীয় ভাবে প্রভাব বিস্তার করে মামলার স্বাক্ষীকে জোরপূর্বক লিখিত ভাবে স্বাক্ষী প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে। বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক বিগত ০৮/০৪/২০২৪ইং স্থিতাবস্থার আদেশ (মামলা নং- ৯৬/২০২৪ইং, বাদী- আব্দুল আজিজগং- বিবাদী- মুহিদ মিয়া গং) বহাল রয়েছে। তিনি আরো জানান-প্রতিবেশীদের এহেন আচরণে নিরাপত্তাহীনতায় পরিবারের লোকজন স্বদেশ বাংলাদেশেও আসতে ভয়ে আতঙ্কে অনিহা করছেন।