1. sokalerbangla@gmail.com : admin :
  2. dainikchoukos@gmail.com : jahid hasan : jahid hasan
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন
সদ্য প্রাপ্ত:-
পহেলা বৈশাখে রাজশাহীতে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা চট্টগ্রামে ডিসি হিলে বর্ষবরণের মঞ্চে হামলা ও ভাঙচুর, অনুষ্ঠান অনিশ্চিত, আটক ৬, নাটোরের সিংড়ায় সহিংসতার অভিযোগে উত্তেজনা, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের অস্বীকার কেএমপিতে ২০ শয্যার আধুনিক মেহমানখানা উদ্বোধন সদরপুরে মাটি কাটার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর ঝাড়ু মিছিল গাজীপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গাঁজাসহ নারীসহ তিনজন আটক মোড়েলগঞ্জে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন প্রজন্মের উত্থান: সেক্রেটারি পদে নির্বাচিত হলেন আব্দুল খালেক সাহেবের মেজো পুত্র সাভারে ছিনতাইকারী ও চোর চক্রের ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ সাভারে ছিনতাই ও চুরির ঘটনায় দুইজন গ্রেফতার ফকিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাইসাইকেলচালকের

মধুপুরের সন্তোষপুর রাবার বাগান: বানরের রাজ্য বনাঞ্চলের মাঝে এক স্বস্তির ঠিকানা

প্রতিবেদকের নামঃ
  • প্রকাশের সময়ঃ রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫

বাবুল রানা, বিশেষ প্রতিনিধি, মধুপুর, টাঙ্গাইল

 

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা ও ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত ১০৬ একর জুড়ে বিস্তৃত সন্তোষপুর রাবার বাগান। এই বাগান শুধু রাবার গাছের সারি সারি মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের জন্যই নয়, বরং শত শত বানরের অবাধ বিচরণের কারণে দর্শনার্থীদের কাছে একটি ব্যতিক্রমী আকর্ষণ হিসেবে পরিচিত।

 

বাগানটি মধুপুর গড় বনাঞ্চলের একটি অংশ, এবং এর সঙ্গেই যুক্ত রয়েছে একটি ঘন বন। এই বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বানরের সরব উপস্থিতি প্রতিদিন শত শত পর্যটককে আকর্ষণ করে। অনেকেই একে “বানরের রাজ্য” হিসেবে অভিহিত করেন।

মধুপুর থানা মোড় থেকে অটোরিকশা বা ব্যক্তিগত যানবাহনে বাগানবাড়ি চৌরাস্তা হয়ে মাত্র ৩০-৩৫ মিনিটেই পৌঁছে যাওয়া যায় এই বাগানে। পৌঁছেই চোখে পড়ে সারি সারি রাবার গাছ আর তার মাঝে খেলতে থাকা বানরের দল।

রাবার বাগান পেরিয়ে যে গহীন বনের দেখা মেলে, সেখানে রয়েছে বন বিভাগের কার্যালয়। তবে স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, শাল ও গজারির বড় বড় গাছ কিছুটা হ্রাস পাওয়ায় এলাকাটি এখন একটি উন্মুক্ত মাঠে পরিণত হয়েছে, যা বিনোদনের নতুন কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে।

খাদ্য সংকটের কারণে বনের ভেতর থেকে অনেক বানর এখন প্রায়শই পর্যটকদের কাছাকাছি চলে আসে। তাদের আচরণ সাধারণত বন্ধুসুলভ—কেউ কাঁধে, কেউ কোলে উঠে খাবার চায়। খাবার পাওয়ার পরই তারা আবার বনাঞ্চলের দিকে ফিরে যায়।

 

পর্যটকদের অভিযোগ, বন বিভাগের খাবার বরাদ্দ থাকলেও তা যথাযথভাবে বানরদের কাছে পৌঁছাচ্ছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। বর্তমানে বানরদের খাদ্য নির্ভরতা মূলত দর্শনার্থীদের ওপরেই বেশি।

বনের আশেপাশে কিছু ভ্রাম্যমাণ দোকান গড়ে উঠেছে, যারা বানরের খাবার ও অন্যান্য পণ্য বিক্রি করে। তবে অনেক দর্শনার্থীর অভিযোগ, এখানে কিছু দোকান মালিক অতিরিক্ত মূল্য আদায় করছেন, যা নিয়ন্ত্রণের দাবি জানানো হয়েছে।

দর্শনার্থীদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। গহীন বনে একা বা দুই-তিনজন মিলে প্রবেশ না করাই উত্তম। ভেতরের অনেক রাস্তা দেখতে একরকম হওয়ায় দিকভ্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পাশাপাশি, নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ধ্যার আগেই বনের এলাকা ত্যাগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সন্তোষপুর রাবার বাগান শুধু একটি প্রকৃতিক ভ্রমণ গন্তব্য নয়, বরং মানুষের ও প্রাণীর এক অনন্য সহাবস্থানের প্রতীক। বন, বন্যপ্রাণী ও পর্যটনপ্রেমীদের জন্য এটি হতে পারে স্বল্প খরচে একটি প্রশান্তিময় ভ্রমণের সেরা ঠিকানা।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved dailychoukas.com 2014-2025
Theme Customized BY LatestNews