1. sokalerbangla@gmail.com : admin :
  2. dainikchoukos@gmail.com : jahid hasan : jahid hasan
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন
সদ্য প্রাপ্ত:-
রাজশাহী পবার প্রান্তিক জনগণকে বিএনপি’র ৩১ দফা কর্মসূচি অবহিত করার লক্ষ্যে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়  শ্রীমঙ্গলকে জেলার শ্রেষ্ঠ থানা ঘোষণা আলফাডাঙ্গায় কৃষক দল নেতা খুন: স্ত্রী গ্রেপ্তার লবণচরা প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন। নরসিংদীর রায়পুরায় দুর্গম চরাঞ্চলের আড়াকান্দা নামক স্থানে চরে থানা স্থাপনের জন্য স্থান পরির্দশন করেন সিনিয়র সচিব-মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন । সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দেশীয় অস্ত্রসহ ৩ ছিনতাইকারী আটক! চট্টগ্রামে ডাকাত দলের হাতে থানা লুটের অস্ত্র! শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫ বছর পর চালু হলো কেবিন সেবা বাগাতিপাড়ায় অবৈধ পুকুর খননের দায়ে ৫ ভেকুর ব্যাটারি জব্দ শ্রীমঙ্গলে বজ্রপাতে আহত বাপ-ছেলে

অঙ্গীকার ভেঙে ফের বিতর্কে সাহাবাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা

প্রতিবেদকের নামঃ
  • প্রকাশের সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

শাহারিয়ার রহমান,স্টাফ রিপোর্টারঃ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাহাবাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফাতেমা আক্তার মিলির বিরুদ্ধে একের পর এক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ উঠছে। স্বাধীনতা দিবসের দিন সাংবাদিকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের পর অঙ্গীকার দিলেও তিনি পুনরায় বিতর্কিত ঘটনায় জড়িয়েছেন।

গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে সাংবাদিক শেখ মামুন উর রশিদের সঙ্গে অসদাচরণ ও স্যান্ডেল দিয়ে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অঙ্গীকারনামা দেন প্রধান শিক্ষিকা। তাতে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে আর এমন আচরণ করবেন না। কিন্তু এর পরই নতুন এক ঘটনায় তিনি সমালোচনার মুখে পড়েন।

অভিযোগ উঠেছে, প্রধান শিক্ষিকা এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র প্রদানের শর্তে ছয় হাজার টাকা দাবি করেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানালে সহকারী শিক্ষক মঈনুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করেন। বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও কর্মচারী অভিযোগ করেছেন, প্রধান শিক্ষিকা তার রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে বিদ্যালয়ে একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার করছেন এবং নিয়মবহির্ভূতভাবে অর্থ লেনদেনসহ নানা অনিয়মে জড়িত।

বিদ্যালয়ের সাবেক নৈশপ্রহরী আব্দুর রহমানের পরিবার অভিযোগ করেছেন, তার বকেয়া বেতন এবং পেনশনের অর্থও আটকে রাখা হয়েছে। প্রধান শিক্ষিকা অর্থ না দিলে প্রয়োজনীয় নথিতে স্বাক্ষর করবেন না বলে জানিয়েছেন।

এসব অভিযোগ নিয়ে প্রধান শিক্ষিকার বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, “প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগ তদন্তের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শফিক আশরাফ এ প্রসঙ্গে বলেন, “শিক্ষকরা সমাজের দর্পণ। তাদের আচরণ ও পেশাদারিত্ব শিক্ষার্থীদের ও সমাজের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। এমন অনৈতিক আচরণ শিক্ষকের মর্যাদার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।”

শিক্ষার্থীদের এবং শিক্ষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved dailychoukas.com 2014-2025
Theme Customized BY LatestNews