ঢাকা মহানগরীর যানজট পরিস্থিতি উন্নয়নে দুই সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ২২টি মোড়ে নতুন সংকেতবাতি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এই সংকেতবাতিগুলো তৈরি করছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১৮ কোটি টাকা।
বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নির্দিষ্ট একটি করিডরে এসব সংকেতবাতি স্থাপিত হচ্ছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৪টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৮টি মোড় এই কার্যক্রমের আওতায় রয়েছে।
২০২৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বুয়েটের প্রতিনিধিদের বৈঠকে যানজট নিরসনে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি বেশকিছু সুপারিশ গৃহীত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ অক্টোবর ‘ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক সভায় নতুন সংকেতবাতি স্থাপনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।
ঢাকা উত্তর সিটির ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম বলেন, সরকারের নির্দেশনায় বুয়েটের সহায়তায় সংকেতবাতি স্থাপনের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে জানান, এই উদ্যোগ নগরীর যান চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে এবং নাগরিক জীবনে স্বস্তি বয়ে আনবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেট (উত্তর সিটি) এবং বাংলামোটর ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় (দক্ষিণ সিটি) — এই চারটি পয়েন্টে সংকেতবাতি স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ইতোমধ্যে ফার্মগেট মোড়ে পরীক্ষামূলকভাবে সংকেতবাতি চালু করে কার্যকারিতা যাচাই করা হচ্ছে। বাংলামোটর মোড়ের কিছু কাজ চলমান রয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে পুরো প্রকল্প চালু করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।