ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দি স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনে গাফিলতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ১৫ এপ্রিল ফুলপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুকের স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্রে সংশ্লিষ্টদের আগামী পাঁচ বছরের জন্য যেকোনো পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষাকেন্দ্রে এক অফিস সহকারীকে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হয়, যা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষা বোর্ডের বিধান অনুযায়ী পরীক্ষার দায়িত্বে কেবলমাত্র অনুমোদিত তালিকাভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োজিত করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু গোলাম রিজওয়ান নামের একজন অফিস সহকারীকে পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়, যা পরীক্ষার নিরপেক্ষতা ও বিধিবিধান রক্ষার প্রশ্নে গুরুতর অনিয়মের ইঙ্গিত দেয়।
এ বিষয়ে ভাইটকান্দি স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেন বলেন, “তারা নিজেদের শিক্ষক পরিচয় দিয়েছিল। আমি প্রতারিত হয়েছি। বিষয়টি আমি পরে জানতে পারি, যখন ঠাকুর বাখাই ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাকে ফোন করে অবহিত করেন।”
ঠাকুর বাখাই ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, “আমার বিদ্যালয় থেকে ৩১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে এবং আমি দুজন শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্বে পাঠিয়েছিলাম। তবে গোলাম রিজওয়ান কীভাবে দায়িত্বে ছিলেন তা আমি জানি না। বহিষ্কারের বিষয়ে কোনো লিখিত নোটিশও পাইনি।”
অভিযুক্ত অফিস সহকারী গোলাম রিজওয়ান (ফরহাদ) দাবি করেন, “আমি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেছি। তারপরও আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।”
ফুলপুর উপজেলার মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার পরিতোষ সূত্রধর বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। একটি ছবিতে দেখা গেছে, তিনজনের মধ্যে একজন অফিস সহকারী ছিলেন। আমরা কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষককে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ডেকেছি।”
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক বলেন, “আমি তিনজনকে দায়িত্বে পেয়েছি এবং দায়িত্বে অবহেলার কারণে কক্ষপরিদর্শকদের পাঁচ বছরের জন্য বহিষ্কার করেছি। তবে অফিস সহকারী দায়িত্বে ছিলেন কিনা, সে তথ্য আমার জানা ছিল না। এ দায়ভার কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষকের।”