কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বশতঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় গুরুতর আহত ২জনকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় ভুক্তভোগী অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বিরাহীমপুর এলাকার বাদী মোঃ মোস্তফার মালিকানাধীন আম গাছে আম পাড়ে একই বাড়ির বিবাদীপক্ষ নুর মোহাম্মদ রবিন, নুর আলমসহ সাঙ্গপাঙ্গরা। এসময় বাদীর ছেলে শাহাদাত হোসেন বাঁধা প্রদান করে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়। এঘটনার জের ধরে বাদী মোঃ মোস্তফা ও তার ছেলে শাহাদাত হোসেন বাড়িতে না থাকার সুযোগে বিবাদীগণ একত্রিত হইয়া লাঠি, লোহার রড, হকস্টিক ও দেশীয় অস্ত্র নিয়া রাত ৮টায় বাদী মোঃ মোস্তফার বশত ঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট চালায়। এসময় ঘরের বৈদ্যুতিক মিটার, আসবাবপত্র, টিন, ঘরের বেড়া ব্যাপক ভাংচুর করে ও কোপায়। এতে আনুমানিক ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়। এসব অপকর্মে বাঁধা দিতে এলে বাদীর স্ত্রী সখিনা খাতুন (৫০) ও ছেলের স্ত্রী শারমিন আক্তার (১৯) কে এলোপাতাড়ি পিটাইয়া মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম করে এবং শ্লীলতাহানী করে। সখিনা ও পুত্রবধু শারমিন আক্তারের গলার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। যার মূল্য ২ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা। গুরুতর আহত অবস্থায় সখিনা ও শারমিনকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় নুর মোহাম্মদ রবিন (২১), নুর আলম (৩৮), মোমেনা খাতুন (৫০) কে ও অজ্ঞাত আরও ২০/২৫জনকে আসামী করে শুক্রবার রাতেই কোম্পানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দারে করে ভুক্তভোগী মোঃ মোস্তফা।
এব্যাপারে নুর মোহাম্মদ রবিনের ফোন নাম্বারে বার বার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এস.আই) নজরুল ইসলাম জানান, মোঃ মোস্তফা বাদী হয়ে ৩জনকে ও অজ্ঞাত ২০/২৫জনকে আসামী করে শুক্রবার রাতেই কোম্পানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। শনিবার সকালে ঘটনা তদন্তে ঘটনাস্থলে যাই। আমরা যাওয়ার আগেই তারা পালিয়ে যায়। সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।