মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় নিখোঁজের একদিন পর রেললাইনের পাশ থেকে এক যুবকের বিচ্ছিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসহ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার সকালে উপজেলার রেলগেট এলাকার রেললাইনের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রেললাইনের পাশে রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে তারা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানা পুলিশ।
নিহত যুবকের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পরিবার। তিনি কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের বড়চেগ গ্রামের ইকবাল হোসাইন (৩০)। পরিবার জানায়, শনিবার বিকেলে শ্বশুরবাড়ি ভেড়াছড়া গ্রাম থেকে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার পর থেকে ইকবালের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রাতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে কমলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
পরে রেললাইনের পাশে পড়ে থাকা মরদেহ থেকে পরিচয় নিশ্চিত করেন স্বজনরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মরদেহের হাত-পা বিচ্ছিন্ন ছিল এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ছিল গুরুতর আঘাতের চিহ্ন।
নিহতের পরিবারের দাবি, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয় বরং পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, ইকবালকে হত্যা করে রেললাইনের পাশে ফেলে রেখে ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা বা আত্মহত্যার মতো সাজানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মওদুদ হাওলাদার বলেন, “মরদেহের অবস্থা দেখে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এটি দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড— তা নিশ্চিত হতে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টের আলোকে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় সব আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।