বাগেরহাটে ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী সাথী শিক্ষা শিবির ২০২৫ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিবিরটি ২৬ এপ্রিল শনিবার বাগেরহাট শহরের দশানি মেগনিতলাস্থ খানজাহান আলী ট্রাস্ট মিলনায়তনে শুরু হয় এবং রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে সমাপ্ত হয়।
এ সময় ছাত্রশিবির বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি আহমেদ আব্দুল্লাহর সঞ্চালনায় বিভিন্ন সেশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক নোমান হোসেন নয়ন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাগেরহাট জেলা আমির মাওলানা রেজাউল করিম, জেলা নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মদ ইউনুস আলি, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য আব্দুল আওয়াল, সাবেক জেলা সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল হুসাইন, হাফেজ ইমরান হোসাইন, অ্যাডভোকেট ইসাদুল হক, আরিফ শেখ, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বাগেরহাট জেলা সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেম এবং জামায়াতে ইসলামী জেলা যুব বিভাগের সভাপতি শেখ মনজুরুল হক রাহাদসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রধান অতিথি নোমান হোসেন নয়ন তার বক্তব্যে বলেন, “আমাদের জীবনে ইসলামী শিক্ষাকে তুলে ধরতে হবে। আল-কোরআন এবং হাদিসের আলোকে জীবন পরিচালনা করা আমাদের দায়িত্ব। সকল প্রকার নির্যাতন এবং জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জান ও মাল আল্লাহর পথে উৎসর্গ করতে হবে। আমাদের জীবনে চূড়ান্ত লক্ষ্য হওয়া উচিত শাহাদাত, যার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ এবং কুরবানির নজরানা পেশ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “শিশুদের, তরুণদের এবং ছাত্রদের মধ্যে আদর্শিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটাতে আমাদের কাজ করতে হবে এবং শিবিরের সাথীদের শপথের আদর্শে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এসব মূল্যবোধ বাস্তব জীবনে প্রয়োগের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।”
দুই দিনের এই শিক্ষা শিবিরে কুরআন-হাদীসভিত্তিক শিক্ষা, নৈতিক চরিত্র উন্নয়ন এবং ইসলামী আদর্শিক মানসিকতা গঠনের বিভিন্ন সেশন আয়োজন করা হয়। অংশগ্রহণকারী সাথীরা উত্সাহ এবং আন্তরিকতার সঙ্গে কর্মশালায় অংশ নেন এবং ইসলামী জ্ঞানে নিজেদের সমৃদ্ধ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এ কর্মসূচির মাধ্যমে ছাত্রশিবিরের উদ্দেশ্য ছিল যুবকদের মধ্যে ইসলামী আদর্শ, নৈতিকতা এবং উন্নত চরিত্রের মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা। এই উদ্যোগটি সমাজে ইসলামী শিক্ষার প্রসার এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়ার একটি উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।