সাগর আহমেদ, ঘাটাইল উপজেলা প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের মাকড়াই (কুমারপাড়া) যাত্রী ছাউনি দখল করে ঔষদের দোকান দিয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা শাহাদাৎ হোসেন।
এ বিষয়ে দেড় শতাধিক লোকের যৌথ স্বাক্ষরসহ এলাকাবাসীর পক্ষে কুমারপাড়া গ্রামের ইজ্জত আলীর ছেলে লিটন মিয়া গত ১০ এপ্রিল জবরদখল মুক্ত করে এলাকায় সংঘাত এড়াতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি আবেদন করেন।
লিখিত অভিযোগ ও স্হানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, ঘাটাইল সাগরদিঘী পাকা রাস্তার ধারে মাকড়াই বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের সুবিধার্থে সরকার ২০০১ সালের দিকে যাত্রী ছাউনি তৈরি করে দেয়। সেই থেকে একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম খানের ছেলে মেহের আলম খান বিধি অনুযায়ী ২০২১ সাল পর্যন্ত বৈধ থাকলেও ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত অবৈধভাবে যাত্রী ছাউনিটি জবরদখলে রেখে ব্যবহার করেন। গত ২০২৪সালের ৫ আগস্ট স্বৌরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে এলাকাবাসী ও স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী মিলে দখল মুক্ত করে তালা লাগিয়ে দেন এবং সিদ্ধান্ত হয় নিয়ম অনুযায়ী লিজ গ্রহিতা ব্যবহার করবে। পরবর্তীতে দেওপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন খান কৌশলে যাত্রী ছাউনিটি নিজের দখলে নেন।
২৩ এপ্রিল সরোজমিনে গেলে কুমার পাড়া গ্রামের জাফর আলী মন্ডলের ছেলে রিয়াজুদ্দিন মন্ডল (৫৫)জানায়,এলাকার প্রায় সকলের দাবী যারা,যারা যাত্রী ছাউনি লিজ নিতে আবেদন করেছে তাদের মধ্যে জেলা পরিষদ থেকে যিনি লিজ পাবেন সে ভোগদখল করবে।
এ সব বিষয়ে কুমার পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে আলিম (৫৩), ছাত্তার আলীর ছেলে মেহেদী হাসান (৪২), ইমান আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫), একই গ্রামের আরফান আলীর ছেলে জিহাদ খান,(২৫) ফজলুল হকের ছেলে লাভলু (২৫) আব্দুস ছাত্তারের ছেলে আসাদুজ্জামান (৪৫) সহ আরও অনেকে জানান, আমরা স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ এলাকাবাসী বসেছিলো, উপস্থিত সকলেই মতামত দিয়েছে আমরা এমন কোন কাজ করবনা যে কাজের জন্য দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। অনেকেই যাত্রী ছাউনি লিজ নিতে আবেদন করেছে, বিধি মোতাবেক যে লিজ পাবে সেই ব্যবহার করবে অথচ শাহাদাৎ হোসেন খান স্থানীয় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে এককভাবে জবরদখল করেছে। তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের সকলের দাবী, যাত্রী ছাউনিটি যেন দখলমুক্ত করা হয়। অন্যথায় যে কোন সময় সংঘাত হতে পারে।
এ বিষয়ে দেওপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক নূরুননবী খান (লাভলু) বলেন, যারা বাড়াবাড়ি করছেন তাদের এমন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকাটাই উত্তম। কেউ এমন কিছু করবেন না যাতে দলের বদনাম হয়।
এ বিষয়ে দেওপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন খান বলেন, যাত্রী ছাউনিটির জায়গা আমাদেরই। আমি জবরদখল করি নাই, ঘর পেতে আবেদন করেছি এবং জেলা পরিষদের (সার্বেয়ারের) মৌখিক অনুমতি ক্রমেই দোকান দিয়েছি।
এবিষয়ে জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, যাত্র ছাউনিটি পেতে অনেকেই আবেদন করেছেন। মৌখিক ভাবে কাউকে অনুমতি দেওয়া হয় নাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সাইদ বলেন, যাত্রী ছাউনিটি জেলা পরিষদের আওতাধীন। জেলা পরিষদের মাসিক মিটিং এ বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।