শাহিন আলম
চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন পানওয়ালা পাড়ার নবী কলোনি এলাকায় সরকারি খাস জমির ওপর গড়ে উঠেছে একটি টাইলস কাটিং কারখানা। অনুমোদনহীনভাবে পরিচালিত এসব কারখানায় স্বাস্থ্য ও পরিবেশবিধি উপেক্ষা করে চলছে প্রতিনিয়ত টাইলস কাটিং, যার ফলে আশপাশের পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে পড়ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কারখানাটির কোনো প্রকার সরকারি অনুমোদন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কিংবা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি কাটা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের টাইলস, যার ফলে নির্গত হচ্ছে বিষাক্ত ধূলিকণা ও রাসায়নিক বর্জ্য।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মেশিনের শব্দে ঘুমানো যায় না। কাটিংয়ের ধোঁয়া ও ধুলায় ছোট বাচ্চারা সর্দি-কাশিতে ভোগে। বড়রাও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছেন।
পরিবেশবিদরা সতর্ক করে জানান, এসব কারখানা থেকে নির্গত সিলিকা ধূলিকণা ফুসফুসের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। দীর্ঘমেয়াদে এটি সিলিকোসিসসহ নানা জটিল রোগের কারণ হতে পারে। তাছাড়া আশপাশের বাতাস ও পানির মানও নেমে যাচ্ছে দ্রুতগতিতে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, অনুমোদনহীন শিল্প কার্যক্রম পরিবেশ আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে পর্যাপ্ত নজরদারি ও অভিযান না থাকায় এসব কার্যক্রম দৃষ্টির আড়ালে রয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে কারখানার মালিক রাজ্জাকের সাথে যোগাযোগ করলেও, কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি, এবং তার মুঠো ফোনে ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করে পরিচয় দেওয়ার পরে ফোন কেটে দেন , তারপর একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেননি।
ডবলমুরিং থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী রফিক বলেন, আমরা অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিই। তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শন ও সুপারিশ ছাড়া আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ও সচেতন নাগরিকরা মনে করছেন, এ ধরনের পরিবেশবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের সক্রিয়তা বাড়াতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়মিত তদারকি, স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং জনগণের সচেতনতা ছাড়া এই সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।