জাহিদ হাসান — রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এক মাস ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পরিচালিত অভিযানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, নকশা বহির্ভূত নির্মাণ প্রতিরোধ এবং ভূমি ব্যবস্থাপনায় অনিয়মের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এই উদ্যোগের স্থায়িত্ব এবং ভবিষ্যত প্রভাব নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে উদ্বেগ রয়েছে।
রাজউক জানায়, চলতি মাসে উত্তরা, মোহাম্মদপুর, বাসাবো, বাড্ডা এবং রামপুরা এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে একাধিক অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এসব অভিযানে বহু অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়, এবং কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অভিযানে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব স্থাপনা মূলত রাস্তা, খালপাড় ও সেবাভূমি দখল করে নির্মিত হয়েছিল, যা নগর ব্যবস্থাপনায় জটিলতা সৃষ্টি করছিল।
এছাড়াও, রাজউক কয়েকটি ভবনের মালিককে নকশা বহির্ভূত নির্মাণের জন্য সতর্ক করে নোটিশ প্রদান করেছে। নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে জরিমানা আরোপ করা হয়েছে এবং নির্মাণ কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
তবে এই উদ্যোগের দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নগর পরিকল্পনাবিদ এবং নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা মনে করেন, রাজউকের অভিযান প্রশংসনীয় হলেও এটি ধারাবাহিকভাবে পরিচালিত হওয়া প্রয়োজন। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায়, পর্যাপ্ত তদারকি এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবের কারণে অনেক সময় এ ধরনের অভিযানের সুফল স্থায়ী হয় না। পূর্বে উচ্ছেদ হওয়া স্থানে বেশ কিছুদিন পর আবার অনিয়ম শুরু হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কেবল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ নয়, নগর ব্যবস্থাপনায় একটি দীর্ঘমেয়াদী সমন্বিত পরিকল্পনা, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিয়মিত নজরদারি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে এসব অভিযানকে টেকসই করা সম্ভব।
রাজউক সূত্রে জানা গেছে, ভবিষ্যতেও এসব অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে এর কার্যকারিতা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।