ক্রাইম রিপোর্টার: রাজীব খান
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ধূরইল ইউনিয়নের বাদে জোল গ্রামে সংখ্যালঘু কৃষকদের ফসলি জমিতে জোরপূর্বক পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে স্থানীয় সুজন নামের এক ব্যক্তি রাতের অন্ধকারে মাদকাসক্ত কিশোর গ্যাং বাহিনীর সহযোগিতায় এ কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় কৃষকরা রাজশাহী জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে রোববার (২৫ মে) বাদে জোল গ্রামের কৃষক অশোক সরকার, রবীন্দ্রনাথ সরকার, ফনিন্দ্রনাথ সরকারসহ মোট ১০ জন সংখ্যালঘু কৃষক এবং একই গ্রামের কাউসার আলী, আবদুর রহমান, আবদুর রশিদসহ ২৩ জন পৃথকভাবে অভিযোগ দাখিল করেন।
কৃষকদের অভিযোগ:
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ধূরইল মৌজা ও বিল পালশা মৌজার ধানী জমিতে ১১০ বিঘা ফসলি জমি পুকুর খননের মাধ্যমে ধ্বংস করা হচ্ছে। জমিগুলোতে সারা বছর ধান উৎপাদন হতো। এ পুকুর খননের কারণে শুধু ধান উৎপাদনই বন্ধ হবে না, জলাবদ্ধতার কারণে পান বরজসহ এলাকার অন্যান্য ফসলি জমি এবং বসতবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, “জমি না থাকলে আমাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে দিন কাটাতে হবে।” ফনিন্দ্রনাথ সরকার জানান, “পুকুর খননে বাধা দিলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা আমাদের হাত-পা ভেঙে দেওয়ার এবং খুন-জখমের হুমকি দিচ্ছে।”
এ বিষয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আয়শা সিদ্দিকা বলেন, “অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার জানান, “তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এ ধরনের পুকুর খনন স্থানীয় কৃষি অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসনের তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।