মোঃ রমিজ লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি
লামায় ‘ তারুণ্যের অগ্রযাত্রায় আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ১০টায় লামা উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আঞ্চলিক তথ্য অফিস চট্টগ্রাম পিআইডির উদ্যোগে ‘তারুণ্যের অগ্রযাত্রায় আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মোঃ সাঈদ হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মঈন উদ্দিন । অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আঞ্চলিক তথ্য অফিস চট্টগ্রাম পিআইডির সিনিয়র তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপপ্রধান তথ্য অফিসার বলেন,
‘বর্তমানে তরুণরা বৈশ্বিক আন্দোলনের অগ্রভাগে রয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে এবং গণতান্ত্রিক সংস্কারের আহ্বান জানাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশেও আমরা এমনটা দেখেছি। তরুণরা একটি বড় রাজনৈতিক উত্তরণের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করেছে।
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখার জন্য, ভবিষ্যৎ উন্নয়ন যাতে সমতা, বৈষম্যহীন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার দ্বারা পরিচালিত হয় তা নিশ্চিত করার জন্য তরুণদের সম্পৃক্ততা অপরিহার্য। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণমাধ্যম সরকারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরকারি নীতিমালা ও কার্যক্রম কীভাবে এবং কী পরিমাণে বাস্তবায়িত হচ্ছে গণমাধ্যমে সাধারণ জনগণ তা জানতে পারে। গণতন্ত্র ও সুশাসন একে অপরের পরিপূরক উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণমাধ্যম ছাড়া কোনো দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা যেমন সম্ভব নয়, তেমনি গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে সুশাসন নিশ্চিত করাও জরুরি। জনগণ ক্ষতিগ্রস্থ হয় এমন সিদ্ধান্তকে গণমাধ্যমের সমালোচনায় প্রতিহত করা সম্ভব।’ তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। এছাড়াও তিনি তথ্য অধিকার আইন ২০০৯, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালাসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মঈন উদ্দিন বলেন, একটি স্বাধীন, বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। গণমাধ্যম সমাজের নানান অসঙ্গতি, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করে, যা সুশাসনের মূল ভিত্তি। বস্তুনিষ্ঠ তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন ও সম্পৃক্ত করে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে তোলে।
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে সাংবাদিকগণ বলেন, সমাজে নানান অসঙ্গতি প্রকাশ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে গণমাধ্যমকর্মীগণ সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখছে। তাঁরা বলেন, সাংবাদিকগণের কাজের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা জরুরি। অনিবন্ধিত পত্রিকা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য অফিস, লামার সহকারী তথ্য অফিসার মোহাম্মদ রাশেদুল হক। বক্তব্য দেন, প্রেসক্লাব সভাপতি প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, সিনিয়র সাংবাদিক মুহাম্মদ কামালুদ্দিন, প্রেসক্লাব সেক্রেটারী মোঃ কামরুজ্জামান, সাংবাবাদিক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মোঃ ফরিদ উদ্দিন প্রমূখ। এ ছাড়াও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তোফাজ্জল হোসেন এবং মৎস্য ও কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার।