রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর এলাকায় রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের পাশে স্তূপ করে রাখা কোরবানির পশুর চামড়ার তীব্র গন্ধে পরিবেশের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। ঈদুল আজহার পর টানা দু’দিন ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা এবং পথচারীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকেই নাক ঢেকে চলাফেরা করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের পাশে খোলা আকাশের নিচে চামড়া লবণ দিয়ে সংরক্ষণের প্রক্রিয়া চলছে। তবে অনেক জায়গায় চামড়া এলোমেলোভাবে পড়ে থাকায় চারপাশে একধরনের তীব্র দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। পরিবেশে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, ঈদের দিন যেসব চামড়া বিক্রি হয়নি বা বিক্রির জন্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি, সেগুলোই ফেলে রাখা হয়েছে মহাসড়কের আশপাশে। এর ফলে স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। পথচারী শাপলা খাতুন বলেন, “চামড়ার এমন গন্ধ দূর থেকে নাকে এসে লাগে। হাঁটা-মুখ খোলা রাখা মুশকিল হয়ে গেছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কের বেলপুকুর অংশে একাধিক চামড়া ব্যবসায়ীর আড়ৎ রয়েছে। তাঁরা রাজশাহী মহানগরসহ পুঠিয়া, চারঘাট ও বাঘা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির পশুর চামড়া কিনে এনে এখানে স্তূপ করে রাখছেন। প্রয়োজনীয় স্থানের অভাব ও শ্রমিক সংকটে চামড়াগুলোর সঠিক সংরক্ষণে ব্যত্যয় ঘটছে।
চামড়া ব্যবসায়ী আবদুল হাকিম বলেন, “ঈদের দিন থেকেই আমরা কাজ করছি। শ্রমিক কম থাকায় কিছু চামড়া পড়ে আছে। তবে যত দ্রুত সম্ভব সব চামড়া সরিয়ে নেওয়া হবে।”
পরিবেশ সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন, খোলা জায়গায় এভাবে চামড়া ফেলে রাখলে দুর্গন্ধ ছাড়াও রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাঁরা দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসী বিষয়টি সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করছেন।