বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি দেশের বৃহত্তর একটি রাজনৈতিক শক্তি। সংগঠনটির অন্যতম প্রাণ শক্তি হিসেবে বিবেচিত হয় ছাত্রদল, যারা ছাত্র ও তরুণ সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছে।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোতে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কোথাও হচ্ছে নির্বাচন, আবার কোথাও কেন্দ্রীয়ভাবে নির্ধারিত হচ্ছে নেতৃত্ব। এরই ধারাবাহিকতায় খুলনা মহানগর বিএনপির অধীন অনেক অঙ্গসংগঠনের কমিটি গঠিত হলেও ছাত্রদলের কমিটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকলেও, তৃণমূল পর্যায়ে আলোচনায় রয়েছেন খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব তাজিম বিশ্বাস এবং সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রশিউর রহমান রুবেল। মাঠপর্যায়ে সক্রিয় এবং আন্দোলন-সংগ্রামে দৃশ্যমান ভূমিকার কারণে তাঁরা তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
খুলনার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ের ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মতে, তাজিম ও রুবেল শুধু রাজনৈতিক নেতৃত্ব নয়, দুর্দিনে পাশে থাকার প্রতীকও। বিগত দমন-পীড়নের সময়ে তাঁরা একাধিকবার কারাবরণ করেছেন, সহযোদ্ধাদের খোঁজ নিয়েছেন, এমনকি অসুস্থ কর্মীদের চিকিৎসার দায়িত্বও নিয়েছেন বলে দাবি করেন তৃণমূল নেতারা।
তাঁদের অভিমত, এমন সহানুভূতিশীল ও ত্যাগী নেতাদের হাতেই ছাত্রদলের মহানগর নেতৃত্ব তুলে দেওয়া উচিত, যারা মাঠের কর্মীদের পাশে বাস্তবভাবে থেকেছেন।
তবে দলীয় নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্তই শেষ পর্যন্ত নির্ধারণ করবে কারা আসছেন নেতৃত্বে। এখন অপেক্ষা—তৃণমূলের বার্তা কতটা প্রতিফলিত হয় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে।