বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আরিফ মোস্তফার বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনকালে অনিয়ম ও সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান শুরু করেছে। তার এবং স্ত্রী তাহেরা মোস্তফার নামে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও খুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পদ অর্জনের তথ্য দুদকে জমা পড়েছে।
দুদক জানায়, চলতি বছরের ২৫ মার্চ থেকে উপপরিচালক মুহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত একটি টিম অভিযোগটির অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ব্যাংক, বীমা, সিটি করপোরেশন, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও ভূমি অফিসসহ ৬০টির বেশি প্রতিষ্ঠানে সম্পদ-সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো থেকে তথ্য পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই চলছে।
প্রাথমিক অভিযোগে বলা হয়েছে, আরিফ মোস্তফা তার দায়িত্বকালীন সময়ে প্রকল্পভিত্তিক যন্ত্রপাতি কেনায় অনিয়ম করেন এবং বিদেশ সফরের মাধ্যমে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেন। অভিযোগে আরও উল্লেখ রয়েছে, তিনি এবং তার স্ত্রী খুলনায় শতাধিক বিঘা জমি ক্রয় করেছেন এবং নগর এলাকায় বাড়ি নির্মাণ করেছেন।
তথ্য অনুযায়ী, গুলশান ও ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট, নিজ এলাকায় জমি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ এবং ব্যাংকে সঞ্চয়পত্রসহ আর্থিক লেনদেনের বিষয়গুলো তদন্তের আওতায় রয়েছে। এছাড়া, স্বর্ণালংকার কেনা এবং অর্থ পাচারের অভিযোগও পর্যালোচনায় রয়েছে।
দুদকের আবেদনের ভিত্তিতে, ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব গত ১৫ মে আরিফ মোস্তফা, তাহেরা মোস্তফা ও তাদের দুই সন্তানের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
আদালতে জানানো হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে চলে গেলে অনুসন্ধান প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তাই তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশযাত্রা নিয়ন্ত্রণ জরুরি বলে মনে করছে কমিশন।
দুদক জানিয়েছে, প্রাপ্ত তথ্য ও নথিপত্র পর্যালোচনার পর প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।