কারা ব্যবস্থাপনায় আত্মনির্ভরতা ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে চালু হলো একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। শনিবার দুপুরে কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল তানভীর হোসেন নিজ হাতে দুটি পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন, যার মধ্যে ছিল রুই, কাতল, মৃগেল, সিলভার কার্প ও পাঙ্গাস।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে অব্যবহৃত সম্পদ কাজে লাগিয়ে খাদ্য উৎপাদনের টেকসই মডেল গড়ে তোলার একটি প্রয়াস দেখা গেছে। কর্নেল তানভীর হোসেন বলেন, “কারাগার ব্যবস্থাপনায় টেকসইতা আনতে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার অপরিহার্য। মাছ চাষ বন্দীদের খাদ্য চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সরকারের ব্যয় সাশ্রয়ে ভূমিকা রাখবে।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি প্রিজন কামাল হোসেন, সিনিয়র জেল সুপার মোঃ শাহ আলম খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা। অনুষ্ঠান শেষে কর্নেল তানভীর কারাগার চত্বরে একটি লিচুর চারা রোপণ করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
ডিআইজি প্রিজন কামাল হোসেন জানান, “কারাগার শুধুই নিরাপত্তার স্থান নয়, এটি একটি সংশোধন ও পুনর্গঠনের ক্ষেত্র। কৃষি, মৎস্য ও কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বন্দীরা যেন মুক্তির পর সমাজে স্বনির্ভর জীবন গড়তে পারে, সেদিকেই নজর দেওয়া হচ্ছে।”
কারা বিভাগ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ধরনের উদ্যোগ দেশের কারাগার ব্যবস্থাকে আধুনিক ও উৎপাদনমুখী করে তুলবে, যা পুনর্বাসন প্রক্রিয়াকে আরও ফলপ্রসূ করতে সহায়তা করবে।