সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নার্সদের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম, দায়িত্বে গাফিলতি এবং আচরণগত অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, সেবার বিনিময়ে অনৈতিক আর্থিক লেনদেন এবং কর্মঘণ্টায় ব্যক্তিগত কাজে মোবাইল ব্যবহারের মতো আচরণ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।
একাধিক রোগীর স্বজন জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। তাদের দাবি, ওয়ার্ডে দায়িত্বে থাকা কিছু নার্স ওষুধ প্রয়োগ, ইনজেকশন দেওয়া কিংবা বেডে রোগী তোলার মতো ন্যূনতম সহায়তার বিনিময়ে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে অর্থ দাবি করেন। কেউ কেউ স্পষ্ট করে বলেন, “টাকা না দিলে সময়মতো সেবা পাওয়া যাবে না।”
একজন নারী রোগীর মেয়ে বলেন, “রাত তিনটার দিকে মায়ের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে নার্সকে বারবার ডাকা হলেও তিনি ফোনে ব্যস্ত ছিলেন। পরে অনেক অনুরোধের পর সাড়া দেন, তবে সেবার আগেই টাকা চাইলেন।”
হাসপাতাল প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “এই ধরনের অভিযোগ খুবই উদ্বেগজনক। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিকভাবে খোঁজ নেওয়া শুরু হয়েছে। তদন্তে সত্যতা মিললে দায়ীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্বাস্থ্যসেবা বিশ্লেষকরা বলছেন, হাসপাতাল হচ্ছে মানুষের ভরসার জায়গা। সেবাদানকারী কর্মীদের পেশাদার আচরণ চিকিৎসা প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই এমন ঘটনায় জনমনে আস্থার সংকট তৈরি হওয়া স্বাভাবিক।
জনস্বার্থে অবিলম্বে একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
সেবাখাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং মানুষের আস্থা পুনরুদ্ধারে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি।