দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র জব্দ
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) গুলশান-২ এলাকায় অবস্থিত ‘রূপসা অ্যাপার্টমেন্ট’ প্রকল্পে ফ্ল্যাট ও প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি এনফোর্সমেন্ট টিম মাঠপর্যায়ে অভিযান পরিচালনা করেছে।
গত ১৮ জুন, বুধবার, দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে গঠিত ওই টিম রূপসা প্রকল্প এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে এবং সংশ্লিষ্ট রাজউক কর্মকর্তাদের বক্তব্য গ্রহণ করে। অভিযানে বরাদ্দ সংক্রান্ত কাগজপত্র ও প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করে বরাদ্দে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আক্তারুল ইসলাম।
তিনি জানান, পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে প্রকল্পের মূল্যবান ফ্ল্যাটগুলো গোপনে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তি, তাদের সন্তান এবং উচ্চপদস্থ কিছু সরকারি কর্মকর্তার কাছে বাজারমূল্যের তুলনায় অনেক কম দামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র মতে, রূপসা প্রকল্পের একটি ফ্ল্যাটের গড় বাজারমূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা হলেও বরাদ্দপ্রাপ্তদের কাছে তা উল্লেখযোগ্য কম দামে দেওয়া হয়। একটি ৩০৯৯ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, যেখানে প্রতি বর্গফুট মূল্য ধরা হয়েছে ১৪,৫০০ টাকা, তা হিসেব অনুযায়ী প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা হলেও পার্কিং ও ইউটিলিটি চার্জ বাদে কম দামে বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
এ বিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্য, রাজউকের সাবেক ও বর্তমান সদস্য, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ও সরকারি উচ্চপদস্থ অনেকের নাম উঠে এসেছে বলে জানা গেছে।
দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বরাদ্দ আবেদনপত্র, বরাদ্দ আদেশপত্র এবং বরাদ্দপ্রাপ্তদের তালিকাসহ গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সংগ্রহ করেছে। প্রাপ্ত উপাত্ত বিশ্লেষণের পর বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করা হবে এবং প্রয়োজনে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।